দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সাক্ষাত করতে বিশেষ সফরে ঢাকা এসেছেন তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিন এরদোগান।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ভোর আনুমানিক ৩টার দিকে বিশেষ এক ফ্লাইটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।

এমিন এরদোগানের সফরসঙ্গীদের মধ্যে রয়েছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বিমানবন্দরে তুর্কী ফার্স্টলেডি এবং তুর্কী প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান।


আজ সকালেই বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সাক্ষাত করতে কক্সবাজার যাওয়ার কথা রয়েছে তুর্কী ফার্স্ট লেডির।

তার সফরের আগ দিয়ে তুর্কী সংবাদমাধ্যম এটিভিকে দেশটির উপ প্রধানমন্ত্রী হাকান কাভুসোগলু জানান, ‘মিসেস এমিন এরদোগান আজ বাংলাদেশ যাবেন যেখানে তিনি আমাদের মুসলিম ভাইদের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন যারা আরাকানে নিপীড়নের মুখে পালিয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের অনেক মুসলিম ভাই রাখাইন অঞ্চলে দমন পীড়নের শিকার হওয়ার পর বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।’

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগানের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে তুর্কী ফার্স্টলেডির সফরে তার সঙ্গে থাকবেন সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সফরে তুর্কী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে থাকবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

কক্সবাজার থেকে ফিরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করার কথা রয়েছে এরদোগানপত্নীর। তারা চলমান রোহিঙ্গা সঙ্কটের সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে আলোচনা করবেন।

জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, ২৫শে আগস্ট থেকে রাখাইনে সামরিক আগ্রাসনের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে অনুপ্রবেশ করেছে আনুমানিক ১ লাখ ৪৬ হাজার রোহিঙ্গা। এছাড়া অভ্যন্তরীনভাবে বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা।

প্রসঙ্গত, তুর্কী প্রেসিডেন্ট এরদোগান ৩১শে আগস্ট প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন। ফোনালাপে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে দু’নেতার আলোচনা হয়। রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবিলায় বাংলাদেশের নেয়া পদক্ষেপগুলোর প্রশংসা করেন এরদোগান। একইসঙ্গে রাখাইনে চলমান সহিংসতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশকে পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৭)