দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নির্যাতনের শিকার হয়ে রোহিঙ্গাদের যে স্রোত বাংলাদেশে আসছে, তাতে সরকার উদ্বিগ্ন। এই স্রোতের সঙ্গে মাদক ও অস্ত্র আসছে কি না সেটা বেশি উদ্বেগের বিষয় বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে ঈদযাত্রার বিভিন্ন তথ্য জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, যারা (রোহিঙ্গা) আসছে, তাদের প্রতি যেন মানবিক আচরণ দেখানো হয়, সে জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন। ইতিমধ্যে দেড় লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশ এসেছে। এই পরিস্থিতি অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে মোকাবিলা করা হচ্ছে। জাতিসংঘকেও উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে, যেন যারা এসেছে, তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জনস্রোতের এই যে বিশাল বোঝা, তা বহনের ক্ষমতা সরকারের নেই। তিনি নির্যাতনের শিকার হয়ে আসা রোহিঙ্গাদের এই স্রোতকে রক্তস্রোত হিসেবে উল্লেখ করেন।

তিনি জানান, ইতিমধ্যে বাংলাদেশে মিয়ানমারের প্রতিনিধিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে নিয়ে এই নিপীড়ন বন্ধ করার জন্য জোরালো বক্তব্য দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, সবার সহযোগিতায় এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হয়েছে বলে জানিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ঈদযাত্রা শুরুর দিকে আতঙ্কের বিষয় থাকলেও শেষটা ভালো হয়েছে। টানা বর্ষণ ও বন্যার কারণে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। উত্তরবঙ্গে গাইবান্ধা, দিনাজপুর, রংপুর, কুড়িগ্রামের অনেক জায়গায় রাস্তাঘাটের কোনও চিহ্ন ছিল না। কয়েকটি পয়েন্টে রাস্তাঘাট একেবারেই পানির নিচে ডুবে ছিল। এই অবস্থা থেকে উত্তরণ ছিল চ্যালেঞ্জিং। সবার সহযোগিতায় সেই চ্যালেঞ্জ আমরা ওভারকাম করেছি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এবার রেলপথে ১০ লাখ মানুষ বাড়ি গেছে, সড়কপথে গেছে ৩০ থেকে ৩৫ লাখ। সবার সমন্বিত প্রয়াসে এবার সবার ঈদ ভালো হয়েছে। আগের তুলনায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় চলেছে কম। কোরবানির পশুবাহী গাড়িও চলেছে ভালো। অনেক পয়েন্টেই গাড়ি চলার গতি ছিল ধীর, তারপরও থেমে থাকেনি। ফেরিঘাটের চিত্র ছিল আলাদা। ফেরিঘাটের সমস্যায় কারও কিছু করার ছিল না। পদ্মার প্রবল স্রোতই ছিল এর মূল কারণ।’

সাংবাদিকদের তিনি জানান, এবারের ঈদে সারাদেশে মোট ৪৫টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ২৫ থেকে ৩০ জনের মতো মানুষ মারা গেছেন, ১০০ জনের মতো আহত হয়েছেন। যা অতীতের যে কোনও বছরের তুলনায় খুবই কম।

মন্ত্রী বলেন, ‘মেঘনা-গোমতি সেতুতে সমস্যা ছিল। আমি ও সচিব সেখানে গিয়ে সমস্যা চিহ্নিত করেছি ও দাঁড়িয়ে থেকে সমাধান দিয়েছি। আগে টোল আদায়ের বুথ ছিল ৬টি, আমরা দুটি বাড়িয়ে ৮টি করেছি। চারটি দিয়ে পণ্যবাহী ট্রাক, পশুর ট্রাক গেছে। চারটি দিয়ে যাত্রীবাহী যান গেছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে টোল আদায় হয়েছে, ফলে টোল প্লাজা পার হতে প্রতিটি গাড়ির লেগেছে মাত্র ১০ সেকেন্ড।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৭)