দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর)। ‘সাক্ষরতা অর্জন করি, ডিজিটাল বিশ্ব গড়ি’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে এবার দিবসটি পালিত হচ্ছে।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দিবসটি পালনে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। খবর- বাসস।

১৯৬৫ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো ৮ সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও সমাজের মধ্যে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও তাৎপর্য তুলে ধরার লক্ষ্যে এ দিবসটি নির্ধারণ করা হয়। ১৯৬৬ সালে বিশ্বে প্রথম আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালন করা হয়। প্রতিবছর এ দিবসটি উদযাপনের মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন দেশের সাক্ষরতা এবং বয়স্ক শিক্ষার অবস্থা তুলে ধরা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে প্রথম সাক্ষরতা দিবস উদযাপিত হয়।

সাক্ষরতা দিবসের বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশকে তথ্যনির্ভর পৃথিবীর সামনে মাথা উঁচু করে দাঁড় করাতে হলে আগামী প্রজন্মকে সাক্ষর ও ডিজিটাল প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন হতে হবে। বর্তমান সরকার শিক্ষার প্রসার ও নিরক্ষরতামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সে লক্ষ্যকে সামনে রেখেই সরকার প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক, বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, উপবৃত্তি কার্যক্রমসহ বহুমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে একটি ডিজিটাল প্রযুক্তিনির্ভর জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে এবং রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে সরকার নিরক্ষরতামুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরক্ষরতা দূরীকরণ কর্মসূচিকে একটি সামাজিক আন্দোলন হিসেবে গ্রহণ করেছে।’

দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘গত সাড়ে ৮ বছরে সাক্ষরতার হার ৪৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৭২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। আমি আশা করি, ২০২১ সালের মধ্যে দেশ নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্ত হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দারিদ্র্যজনিত ঝরেপড়া রোধ করতে উপবৃত্তি কর্মসূচি এবং শিক্ষার্থীদের স্কুলে ধরে রাখতে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছি। ফলে প্রাথমিক শিক্ষাস্তরে শতভাগ শিশুকে বিদ্যালয়ে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। আসুন, সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ‘উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের সাক্ষরতার হার শতভাগে উন্নীত করি। দেশের প্রতিটি নাগরিককে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করার মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতামুক্ত ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ে তুলি।’

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০১৭ উপলক্ষে হাতে নেওয়া সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।

সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে সকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শিল্পকলা একাডেমি পর্যন্ত এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। শোভাযাত্রায় শিক্ষক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। সকাল ১০টায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন।

এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে স্মারক ডাক টিকিট অবমুক্তকরণ, ক্রোরপত্র ও স্মরণিকা প্রকাশ, পোস্টার তৈরি, শোভাযাত্রা, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে সড়কদ্বীপ সজ্জিত করণ, গোলটেবিল বৈঠিক ও টেলিভিশন টকশো আয়োজন করা হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৭)