পৃথিবীর সর্ববৃহৎ আম গাছ দেখতে গিয়ে ভোগান্তিতে পর্যটকরা
নবীন হাসান, ঠাকুরগাঁও : পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আম গাছ ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায়। প্রতিদিন এ গাছটি দেখতে আসে কয়েশ মানুষ। কিন্তু রাস্তাঘাটের বেহাল দশা এবং বিশ্রামাগার ও হোটেল-রেস্তোরা না থাকায় আগত পর্যটকদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
শুধু বিঘে দুই ছিল মোর ভুঁই আর সবই গেছে ঋণে। বাবু বলিলেন, বুঝেছ উপেন, এ জমি লইব কিনে। কহিলাম আমি, তুমি ভূস্বামী, ভূমির অন্ত নাই। চেয়ে দেখো মোর আছে বড়ো-জোর মরিবার মতো ঠাঁই।
রবি ঠাকুরের সেই ভূম্বামী হয়তো আর নেই তবে বিশাল এই গাছটি দখল করে রেখেছে গোটা ৩ বিঘা জমি। আধুনিক প্রযুক্তির যুগে এখানে হয়তো শত গাছ ঠাঁই দেওয়া যেত।
কিন্তু ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার হরিণমারী গ্রামের ৩ বিঘা জমি জুড়ে দাঁড়িয়ে আছে অসংখ্য ইতিহাসের নীরব সাক্ষী প্রাক-ঐতিহাসিক যুগের প্রচীন এই সূর্যপুরী আম গাছ। উত্তরের শান্ত জনপদের নিরব সাক্ষী এই গাছটির ডালপালা দৈঘ্য প্রায় ৯০ ফিট। গাছটির বয়স কত তা ঠিক করে বলতে পাড়ছেন না কেউ। তবে এলাকার বেশির ভাগ মানুষ এক মত যে প্রায় ২০০ বছরের কম নয়। এই গাছটিকে ঘিরে এরই মধ্যে হরিনমারি গ্রাম পরিচিতি পেয়েছে সাড়া দেশে। প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে দর্শনার্থীরাও আসছেন।
ঢাকা থেকে দেখতে আসা রাব্বি হোসেন জানান, আসার পথের যে রাস্তা তার অবস্থা খুব খারাপ রাস্তাটি সংস্কার করা উচিত।
বগুড়ার সফিক জানান, এখানে কোন বিশ্রামাগার বা খাবর দোকান নেই, এই কারনে পর্যটকদের ভোগন্তি হচ্ছে। কতৃপক্ষের এসব বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত।
আম গাছটিকে সংরক্ষণের জন্য চারিদিকে টিন দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। আর দর্শনার্থীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ১০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। গাছের মালিক সাইদুর ইসলাম ও নূর ইসলাম জানান, প্রতিদিন প্রচুর দর্শনার্থী আসেন আমগাছটি দেখতে। আমরা ১০ টাকার টিকিটের ব্যবস্থা করেছি। গাছের রক্ষণাবেক্ষণে ১৫ জন লোক প্রতিনিয়ত কাজ করছে।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল বলেন, রাস্তার কাজ শুরু হয়ে গেছে। পুরো দমে কাজ চলছে। বিশ্রামাগার ও রেস্তোরার বিষয়ে তিনি জানান, আমরা সরকারের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। আম গাছে আশে পাশে খাস জমিতে বিশ্রামাগার ও হোটেল-রেস্তোরা তৈরি করা হবে।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৭)