মাজারের টাকা লুটে র্যাব সদস্যরা অভিযুক্ত
চট্ট্রগাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার তালসরা দরবার শরিফের টাকা লুটের মামলায় চার র্যাব সদস্যসহ সাতজনের বিচার শুরু হল। তালসরা দরবার শরিফ থেকে দুই কোটিরও বেশি টাকা লুটের ঘটনায় একটি ডাকাতির মামলা করা হয়েছিল। সেই মামলায় র্যাব-৭ চট্টগ্রামের সাবেক অধিনায়ক (বরখাস্ত) লে. কর্নেল জুলফিকার আলী মজুমদারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পঞ্চম অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ মো. নুরে আলম শুনানি শেষে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন র্যাব-৭-এর তৎকালীন সদস্য ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট (বাধ্যতামূলক ছুটিতে) শেখ মাহমুদুল হাসান, র্যাবের উপসহকারী পরিচালক আবুল বশর, উপপরিদর্শক (এসআই) তরুণ কুমার বসু, র্যাবের সোর্স দিদারুল আলম, মানব বড়ুয়া ও আনোয়ার মিয়া।
২০১১ সালের ৪ নভেম্বর চট্টগ্রামের আনোয়ারার তালসরা দরবার শরিফ থেকে ২ কোটি ৭ হাজার টাকা লুট হয়। এ টাকা লুটের অভিযোগ ওঠে র্যাব সদস্যদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটনায় দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। ওই বছরের ১৩ মার্চ র্যাব-৭ চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাবেক অধিনায়ক (বরখাস্ত) লে. কর্নেল জুলফিকার আলী মজুমদারসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আনোয়ারা থানায় ডাকাতির মামলা করেন দরবার শরিফের গাড়িচালক মোহাম্মদ ইদ্রিস।
২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল জুলফিকার আলীকে সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এর আগে তাকে র্যাব চট্টগ্রাম থেকে সরিয়ে সেনাবাহিনীতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। চাকরিচ্যুত হওয়ার পর আত্মগোপন করেন তিনি। একই বছরের ৩ মে ঢাকার রমনা থানা এলাকায় এক বন্ধুর বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে আনোয়ারা থানার পুলিশ। তিনি বর্তমানে এই মামলায় জামিনে আছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, জুলফিকার আলীসহ সাতজনকে আসামি করে ২০১২ সালের ২৮ জুলাই আনোয়ারা থানার পরিদর্শক আবদুস সালাম চট্টগ্রাম বিচারিক হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০১২ সালের নভেম্বরে আসামিরা হাইকোর্ট থেকে এ মামলার কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ নেন। গত বছরের আগস্ট মাসে উচ্চ আদালত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর মামলাটি আবার সচল হয়।
চট্টগ্রাম জেলা সরকারি কৌঁসুলি এ কে এম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, জুলফিকার আলীসহ সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এ মামলার বিচার শুরু হয়েছে। আদালত আগামী ২৩ অক্টোবর সাক্ষ্য শুরুর পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন। এর আগে মামলা থেকে আসামিদের অব্যাহতির আবেদন করেন তাদের আইনজীবী। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বিরোধিতা করে বলা হয়, আসামিরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত। পরে অভিযোগ গঠনের পর আসামিদের পড়ে শোনান আদালত। এ সময় তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৭)