দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : মিয়ানমারে সহিংসতার শিকার হয়ে পালিয়ে আসা কয়েক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয়দানের জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

 একইসঙ্গে রাখাইন রাজ্যের বেসামরিক জনগণের মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি সম্মান জানানোর জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার লন্ডনে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনের সাথে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে অন্য কোথাও যাওয়ার জায়গা না পেয়ে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের কয়েক লাখ শরণার্থীকে আশ্রয়দানের জন্য আমরা বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাই।’

গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর এটাই ছিল এ বিষয়ে জনসমক্ষে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম বক্তব্য।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘মিয়ানমারের (বার্মা) নিরাপত্তা বাহিনীগুলোকে অবশ্যই বেসামরিক জনগণের মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। আমরা রাখাইন প্রদেশে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাদানকারী সংস্থাগুলোর প্রবেশাধিকার পুনর্বহাল দেখতে চাই।’

মিয়ানমার ইস্যুতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অবস্থানও স্পষ্ট করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘রাখাইন রাজ্যে নিরীহ বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধের ব্যাপারে আহ্বান জানাতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ঐক্যবদ্ধ ছিল।’

এরআগে বৃস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক সংবাদ সম্মেলনে বহুসংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে একটি ন্যূনতম নিরাপদ জায়গা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানায় যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বলেন, ‘বহুসংখ্যক রোহিঙ্গাকে একটি ন্যূনতম নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় দেয়ার জন্য আমরা বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাই।’

মুখপাত্র জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত এবং দেশের বাইরে যাওয়া বাস্তুচ্যুতদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ৬৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ দিয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৭)