‘জিয়ার নির্দেশেই সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা’
দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : জিয়াউর রহমানের নির্দেশেই জাতীয় চার নেতাসহ ৭ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বৃহস্পতিবার দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা সেনা হত্যা দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা সেনা অফিসার ও সেনাদের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
টুকু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে জিয়াউর রহমান নেপথ্যে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করতে তিনি জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছেন। তারই পরিকল্পনায় ওই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।’
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের পথ অনুসরণ করে বিরোধীদলের নেতা বেগম খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য জামায়াতকে লেলিয়ে দিয়েছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে। তাদের ফাঁসিও হয়েছে। জাতীয় চার নেতার হত্যাকারীদের বিচার হবে।’
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘তাদের কয়েকজনের সাজা হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তাদের সবারই বিচার হবে। ফাঁসিতে ঝুলিয়ে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করা হবে।’
‘বিএনপি আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, অগ্নিসংযোগ, মানুষ হত্যা করে তারা অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের চক্রান্ত করছে। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করেছেন। আর মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাসহ অনেককেই ৭১ এর পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য বিনা বিচারে হত্যা করেছেন।’
মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সকল শক্তিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে জানিয়ে শামসুল হক টুকু বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর কুখ্যাত রাজাকার শাহ আজিজুর রহমানসহ অনেক যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দেওয়া হয়েছিল। ওইসব যুদ্ধাপরাধীদের কেউ কিছু করতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় না আসলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতো না। বিএনপি যদি ক্ষমতায় থাকত তাহলে এ দেশ হতো সাম্প্রদায়িক শক্তির।’
‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আবারও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসলে এ দেশ থেকে চিরতরে যুদ্ধাপরাধীদের নির্মূল করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে’ বলে জানান তিনি।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা ও অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালক অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, অধ্যাপক ফজলুর হক, শাহজাহান আলম সাজু, জি এম আতিক, বন্যা দত্ত, আব্দুল হাই কানু, শেখ নওশের আলী, নাসিমা আক্তার লাবু, পারুল আক্তার লোপা প্রমুখ।
(দিরিপোর্ট২৪/আর/এমএআর/নভেম্বর ০৭, ২০১৩)