দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : দেশে সন্ত্রাস দমনে পুলিশের একটি নতুন ইউনিটের অনুমোদন দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই নতুন ইউনিটটির নামকরণ করা হয়েছে ‘এন্টি টেররিজম ইউনিট’।

 

নতুন এই ইউনিট পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামোতে যুক্ত হয়ে ‘খুব শিগগিরই’ মাঠে নামবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) মোখলেসুর রহমান। তিনি আশা প্রকার করেছেন, জঙ্গি ও সন্ত্রাস মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে এই ইউনিট সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখবে।

 

বর্তমানে জঙ্গি দমনে পুলিশের ‘কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম’ বিশেষায়িত ইউনিট হিসেবে কাজ করছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধির পেক্ষাপটে গত বছর ১৬ ফেব্রুয়ারি একজন উপ-মহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) নেতৃত্বে এই ইউনিটের যাত্রা শুরু হয়।

নতুন ইউনিটের নেতৃত্বে থাকবেন আরও উচ্চ পদের একজন কর্মকর্তা, অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক। তার সঙ্গে একজন ডিআইজি, দুইজন অতিরিক্ত ডিআইজি, পাঁচজন পুলিশ সুপার, দশজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ১২ জন সহকারী পুলিশ সুপার থাকবেন।

এছাড়া ৭৫ জন পরিদর্শক, ১২৫ জন উপ-পরিদর্শক, ১৪০ জন সহকারী উপ-পরিদর্শক ও ২০০ কনস্টেবল থাকবেন। সিস্টেম এনালিস্ট, সহকারী প্রোগ্রামার ও অফিস সহকারী মিলিয়ে থাকবেন ১০ জন।

নতুন এই ইউনিটের জন্য ১৬টি জিপ গাড়ি, সোয়াট ভ্যান, অ্যাম্বুলেন্স, প্রিজন ভ্যান, আর্মার্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ারসহ (এপিসি) ৪১টি গাড়ি থাকবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ শাখা থেকে মঙ্গলবার প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তাকে দেওয়া চিঠিতে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশ সদর দপ্তরের একজন সহকারী মহাপরিদর্শক বলেছেন, ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি তৎপরতার কারণে এ ধরনের একটি পৃথক ইউনিট গঠনের প্রয়োজনীতা দেখা দেয়। ২০০৯ সালে প্রাথমিকভাবে এ নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা শুরু হয়।’

এরপর ২০১৫ সালে এ বিষয়ে সরকারকে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাবনা দেওয়া হয়, যার অনুমোদন এখন মিলল বলে জানান মোখলেছুর রহমান।

তিনি বলেছেন, ‘এই ইউনিট সারা দেশে কার্যক্রম চালাবে। নতুন এই ইউনিটের জন্য ৫৮১টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত কর্মকর্তাদের ডেপুটেশনে এনে খুব শিগগিরই এই ইউনিটের প্রাথমিক কাজ শুরু হবে।’

(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৭)