দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রাজধানীর মিরপুরে লাশবাহী গাড়ি থেকে ময়না (২০) নামের এক গৃহকর্মী বিষপান করে আত্মাহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশকে খবর না দিয়ে মৃতের লাশ তার দেশের বাড়িতে পাঠানোর চেষ্টা করে গৃহকর্তার পরিবার। পরে একটি লাশবাহী গাড়ি থেকে মৃত ময়নার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাত দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।

মিরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতিকুর রহমান জানান, কল্যানপুর নাভানা গার্ডেন তৃতীয় তলায় গৃহকর্তা রফিকুল ইসলাম বাসায় গৃহকর্মী হিসাবে কাজ করতো ময়না। ময়নার গ্রামের বাড়ি খুলনার কয়রা উপজেলায়। বাবার নাম মৃত বারেক গাজী।

এসআই আতিকুর রহমান আরও জানান, বিকালের কিছু আগে নাভানা গার্ডেনের ৫ তলায় ছাদে ময়না বিষপান করে। প্রতিবেশীরা ভবন থেকে ময়না বিষপান দেখতে পেয়ে গৃহকর্তার পরিবারকে খবর দেয়। খবর পেয়ে দ্রুত তারা উদ্ধার করে প্রথমে ইবনেসিনা হাসপাতাল, পরে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ময়নাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ আরও জানান, মৃত ঘোষনার পর তারা ময়নার লাশ কল্যাপুরের বাসায় এনে রাখে এবং পুলিশকে খবর না দিয়ে ময়নার লাশ লাশবাহী গাড়িতে তুলে তার দেশের বাড়িতে যাওয়ার প্রস্তুতির নেয়। পরে সাংবাদিকদের মাধ্যামে খবর পেয়ে লাশবাহী গাড়ি থেকে ময়নার মরদেহ উদ্ধার করে ঢামেক মর্গে পাঠায় পুলিশ।

আতিকুর রহমান জানান, গৃহকর্তা রফিকুল ইসলামের পরিবার থেকে পুলিশকে জানানো হয় ময়না ৬ মাস আগে এক যুবককে বিয়ে করে। গত তিনদিন আগে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এ কারণে ময়না বিষপান করে আত্মাহত্যা করতে পারে।

মৃত ময়নার সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে, তার শরিরে তেমন কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় নাই। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যু কারন জানা যাবে।

(দ্য রিপোর্ট/আরএস/এনটি/সেপ্টম্বর ২৬, ২০১৭)