রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দু’জনের লাশ উদ্ধার
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রাজধানীর গুলশান নিকেতনের একটি বাসা থেকে জিনিয়া আফরিন মিতু (২২) নামে এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ও চকবাজার হরনাথ ঘোষ এলাকা থেকে সীমা আক্তার (২৯) নামের এক সেবিকার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় গুলশান ১ নিকেতনের ব্লক-এ, রোড ২, ৭৪ নম্বর বাসা থেকে মিতুর লাশ উদ্ধার করে গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রমজান আলী। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠায়।
নিহত মিতু শরিয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার দাশেরজঙ্গল গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে। ১ ভাই ২ বোনের মধ্যে ছোট মিতু। পরিবারের সাথে নিকেতনের ওই বাসায় ভাড়া থাকতো। সে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে হোটেল ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ছাত্রী ছিল।
নিহতের মা শাহনাজ বেগম জানান, গত ২০১২ সালের ডিসেম্বরে প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে করে সে। এর কিছু দিন পর মিতু তার স্বামীকে তালাক দিয়ে দেয়। তবে কিছুদিন পর থেকে আবার তাদের মেলামেশা শুরু হয়।
গত ২৩ তারিখ মিতু বাসা থেকে বেরিয়ে তার সাবেক স্বামীর কাছে যায়। এরপর গতকাল বিকেলে বাসায় ফিরে। তারপর থেকে আজ সকাল ভোর পর্যন্ত রুমের দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে থাকে।
ভোর বেলায় তাকে ডাকাডাকি করেও কোন সাড়া শব্দ পাওয়া যায়নি। পরে রুমের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে ফ্যানের সঙ্গে শাড়ি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলতে দেখা যায়।
পরে পুলিশে খবর দিরে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে মিতুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে চকবাজার হরনাথ ঘোষ রোডের ৭০/১-এ নম্বর একটি বাসা থেকে মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা দেড়টার দিকে সেবিকা সীমা আক্তারের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
টাঙ্গাইল ধনবাড়ি উপজেলার মৃত আব্দুর সামাদের মেয়ে সীমা।
চকবাজার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খাইরুল ইসলাম দ্য রিপোর্টকে জানান, সীমা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলো। তবে কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তা ময়নাতদন্তের পরেই জানা যাবে।
(দ্য রিপোর্ট/কেএনইউ/সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৭)