দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : ফ্রান্সের নতুন সন্ত্রাসবিরোধী আইন অনুযায়ী দেশটির নিরাপত্তাবাহিনী হুমকি মনে করলে মসজিদ কিংবা অন্য যেকোনো উপাসনালয় বন্ধ করে দিতে পারবে। এ ছাড়া বিচার বিভাগের অনুমতি ছাড়াই জরুরি প্রয়োজনে কিছু পদক্ষেপ নিতে পারবে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। খবর- বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

মঙ্গলবার দেশটির পার্লামেন্টে এই বিল পাস হয়।

তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এর ফলে জনগণের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে।

রয়টার্স বলেছে, নতুন আইন অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো বিচারকের অনুমতি না নিয়েই ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে নিরাপত্তা জোন তৈরি করতে পারবে। এ ছাড়া ওই এলাকায় লোকজন ও যানবাহনের চলাচল সীমিত করাসহ তল্লাশি চালাতে পারবে।

গোয়েন্দা সংস্থা যদি মনে করে যে, মসজিদ কিংবা অন্যকোনো উপসনালয় থেকে ফ্রান্স কিংবা বহির্বিশ্বে সহিংসতার উস্কানি দেওয়া হচ্ছে অথবা সন্ত্রাসবাদী কোনো কর্মকাণ্ডের প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে নিরাপত্তাবাহিনী সংশ্লিষ্ট মসজিদ কিংবা উপাসনালয় বন্দ করে দিতে পারবে।

এ ছাড়া পুলিশ নিরাপত্তা হুমকি মনে করলে বিচার বিভাগের অনুমতি নিয়ে যেকোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে তল্লাশি এবং জনগণের চলাচল সীমিত করার উদ্যোগ নিতে পারবে।

অক্টোবরের মাঝামাঝি এটি দেশটির সিনেটে পাস হতে পারে। তবে তার আগে নতুন এই আইন নিয়ে আরো পর্যালোচনা হতে পারে।

বিলটি পাস হওয়ার আগে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরার্ড কোলোম্ব বলেছেন, এই মুহূর্তে সরকার বিদেশি জিহাদি ও দেশীয় জঙ্গিদের হুমকি মোকাবেলা করছে, ফলে দেশে এখন যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/অক্টোবর ০৪, ২০১৭)