দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অত্যাচার ও নির্যাতনে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সবাইকে কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্পে অস্থায়ীভাবে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এখন থেকে ‘বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক’ হিসেবে তারা (রোহিঙ্গা) পরিচিত হবেন। আর ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে রোহিঙ্গাদের একই স্থানে রাখতে অন্যান্য সব ক্যাম্প বন্ধ করে দেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও সচিব মো. শাহ কামাল।

ত্রাণমন্ত্রী বলেন, ‘সবাইকে কুতুপালং ক্যাম্পে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ক্যাম্পের ভেতরে নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা, খাদ্য সরবরাহ, স্যানিটেশন, রেজিস্ট্রেশন ও চিকিৎসা দেয়াসহ সব কাজ সুচারুভাবে করার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’

তিনি বলেন, ‘কুতুপালং ক্যাম্পের বাইরে যে সব ক্যাম্পে রোহিঙ্গারা থাকছেন ক্রমান্বয়ে তা গুটিয়ে আনা হবে। ইতোমধ্যে ক্যাম্পের বাইরে পাহাড়ি এলাকায় ও অন্যান্য স্থানে যে সব রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন তাদের ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে। গত ৩ অক্টোবর বান্দরবানে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৬১ হাজার রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়েছে। প্রতিদিন গড়পড়তা ৭ থেকে ৮ হাজার লোকের রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এ কাজে সেনাবাহিনী ও পাসপোর্ট অধিদফতর সহযোগিতা করছে।’

কুতুপালং ক্যাম্পকে ২০টি ব্লকে ভাগ করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যেক ব্লকের জন্য একটি প্রশাসনিক ও পরিসেবা ইউনিট ও একটি গোডাউন স্থাপন করা হচ্ছে। এতে সব ধরনের সেবা দেয়া সহজ হবে। পরবর্তী সময়ে ব্লকগুলো ক্যাম্পে রূপান্তর করা হবে। ব্লকের কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য একজন করে কর্মকর্তা পদায়ন করা হয়েছে।’

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী বলেন, ‘প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৪টি গোডাউন নির্মাণের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে ৫টি গোডাউন নির্মিত হয়েছে। বাকি ৯টির নির্মাণ কাজ এ সপ্তাহে শেষ হবে। এর বাইরে ২০টি ব্লকে ২০টি গোডাউন নির্মাণ করা হবে।’

এদিকে সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. শাহ কামাল বলেন, বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গারা এখন থেকে ‘বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক’ হিসেবে পরিচিত হবেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমাদের চিঠি দিয়ে এটা জানিয়েছে। আমরা এখন থেকে এটাই ব্যবহার করব।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/অক্টোবর ০৫, ২০১৭)