কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারে টেকনাফের নাফ নদীর শাহ পরীর দ্বীপ চ্যানেলে ট্রলার ডুবির ঘটনায় আরও ৯ রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ জনে। এর মধ্যে বেশির ভাগই শিশু ও নারী।

সোমবার (৯ অক্টোবর) সকালের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় শাহ পরীর দ্বীপের নাফ নদীর মোহনা থেকে এসব মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

রবিবার রাত ১০টার দিকে দুই জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই সময় আট জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এখনও ৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

উদ্ধার হওয়া জীবিতরা বলছেন,তারা ২৮ জন একটি ট্রলারে করে বাংলাদেশে আসছিল। নাফ নদীর ঘোটার চরে আসার পর ট্রলারটি হঠাৎ ডুবে যায়। তাদের চিৎকারে বিজিবির টহল দল উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে আট জনকে উদ্ধার করেন। অন্যান্যরা নিখোঁজ রয়েছে।

টেকনাফ ২ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল এস এম আরিফুল ইসলাম জানান, শাহ পরীর দ্বীপে ঘোলার চর পয়েন্টে একটি রোহিঙ্গাবাহী ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রাতে দুজনসহ মোট ১১ জনের মৃতদেহ ও আট জনকে জীবিত অবস্থায় বিজিবি উদ্ধার করেছে।

টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাইন উদ্দিন খান জানান,উদ্ধার রোহিঙ্গাদের তথ্যমতে এখনও অনেকেই নিখোঁজ রয়েছে। তাদের উদ্ধারে স্থানীয়দের সহায়তায় চেষ্টা চলছে।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/অক্টোবর ০৯, ২০১৭)