শেয়ারবাজারে অতিরিক্ত বিনিয়োগ করায় ৭ ব্যাংককে জরিমানা
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : তথ্য গোপন করে শেয়ারবাজারে আইনি সীমার অতিরিক্ত বিনিয়োগ করায় সরকারি-বেসরকারি ৭ ব্যাংককে জরিমানা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তদারকিতে এ অনিয়মের বিষয়টি ধরা পড়ে।
গত ১ জুন দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ছিল ৫ হাজার ৪৩৯ পয়েন্টে। আর লেনদেন ছিল ৫২৬ কোটি টাকা। তবে রবিবার দিন শেষে ডিএসইএক্স সূচকটি বেড়ে দাঁড়ায় ৬ হাজার ২০৬ পয়েন্টে। লেনদেন হয় ১ হাজার ৫৪ কোটি টাকা। সেই হিসাবে, প্রায় চার মাসের ব্যবধানে সূচক বেড়েছে ৭৬৭ পয়েন্ট আর লেনদেন বেড়ে হয় দ্বিগুণ। এতে ব্যাংকগুলোর সীমার অতিরিক্ত বিনিয়োগ বড় ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের পর ব্যাংকগুলোকে জরিমানার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়। রবিবার বেশির ভাগ ব্যাংক এ চিঠি পেয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগসীমার মধ্যে না আনলে জরিমানা অব্যাহত রাখা হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, বেশির ভাগ ব্যাংককেই ১৭ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা পত্র দেওয়ার ১৪ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসের ‘সাধারণ হিসাব-প্রধান কার্যালয়’ খাতে জমা দিতে বলা হয়েছে। ব্যাংক কোম্পানি আইনের ১০৯ (১১) ধারা অনুযায়ী এ জরিমানা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সূত্র বলছে, এই ৭ ব্যাংকের ছাড়াও আরও ৮টি ব্যাংকের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ব্যাপারে বিশেষ পরিদর্শন চালিয়ে বেশ কিছু অনিয়ম পেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাদেরও জরিমানার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
এ ছাড়া সন্দেহমূলক লেনদেন পরিলক্ষিত হওয়ায় আরও সাতটি ব্যাংকের বিনিয়োগ যাচাই করে দেখা হচ্ছে। সব মিলিয়ে ২২টি ব্যাংককে কঠোর তদারকির আওতায় নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অপরাধের ধরন অনুযায়ী তাদের ব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিয়ম অনুযায়ী, একসময় যে কোনো ব্যাংক আমানতে তার মোট দায়ের ১০ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারত। তবে ২০১৩ সালে সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, একটি ব্যাংক তার আদায়কৃত মূলধন, শেয়ার প্রিমিয়াম হিসেবে রক্ষিত স্থিতি, সংবিধিবদ্ধ সঞ্চিতি ও রিটেইন্ড আর্নিংসের ২৫ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ করতে পারবে না। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে সহযোগী কোম্পানিসহ শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা নির্ধারণ করে আলাদা একটি পরিপত্র দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
সম্বলিত পদ্ধতিতে আদায়কৃত মূলধন, শেয়ার প্রিমিয়াম স্থিতি, সংবিধিবদ্ধ সঞ্চিতি ও রিটেইন্ড আর্নিংসের ৫০ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ করতে পারবে না বলে উল্লেখ করা হয়।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/অক্টোবর ০৯, ২০১৭)