দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সংবাদ সম্মেলনে মুশফিকুর রহিমের বক্তব্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কর্মকর্তারা কতটা নাখোশ, সোমবার (৯ নভেম্বর) সেই প্রমাণই যেন মিলল বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কথায়।

দক্ষিণ আফ্রিকায় চলমান সফরে দুটি টেস্টেই টস জিতে বোলিং করেছে বাংলাদেশ। সেই দুটি সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে টস হেরে ব্যাটিং পেয়ে একদিনে ৪২৮ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। দিনশেষে সংবাদ সম্মেলনে টস নিয়ে প্রশ্নের জেরে মুশফিক বলেন, “টস জেতাটাই ভুল হয়ে গেছে…।”

সোমবার একটি অনুষ্ঠান শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি প্রধান বললেন, ‘মুশফিকের এই ধরনের মন্তব্য দেশের ক্রিকেটের ভাবমূর্তির ক্ষতি করছে।’

তার ভাষায়, ‘মুশফিক অন্যান্যদের চেয়ে আলাদা। ও প্রকাশ করতে পারে কম। আসলে যারা এমন চুপচাপ থাকে, তাদের মনে আসলে কি চলছে, তা বোঝা যায় না। তবে টস জেতাটাই ভুল ছিল-এটা পৃথিবীর কোন অধিনায়ক বলবে না। এটা থেকেই বোঝা যাচ্ছে ওর কিছু সমস্যা আছে। ও নিজে যদি ভালো না খেলে, তাহলে ওর মন খারাপ থাকে।’

তিনি আরো বলেছেন, ‘ও যেসব মন্তব্য করছে, সেটা দেশের ক্রিকেটের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। টস নিয়ে কোনো অধিনায়ক সংবাদমাধ্যমে এ ধরনের কথা বলতে পারে না। এটা দলের জন্য ভালো হচ্ছে না।’

বিষয়টি এখানেই শেষ হয় নি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে দুর্দান্ত জয়ের পর চট্টগ্রামে হারের পর থেকেই কথার পিঠে যে কথা চলছে, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তা পিছু ছাড়ে নি। সেখানে আরও একবার মুশফিক কিছু ব্যর্থতার দায় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টের দিকে ঠেলে দিয়েছেন। যেটা বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট ও বিসিবি কর্মকর্তাদের পছন্দ হয় নি।

পাপনের কথায় সেই প্রমাণই মিলেছে। মুশফিকের অধিনায়কত্ব নিয়েও কথা বলেছেন বিসিবি প্রধান। পাপন বলেছেন, ‘একটা কথা বলে রাখি, সমস্যাটা মুশফিকের। মাশরাফি অধিনায়কত্ব করে না? ও কখনো এমন সমস্যায় পড়েনি। সাকিব কখনো এমন সমস্যায় পড়বে না, লিখে দিতে পারি।’

অধিনায়ক হয়েও বাউন্ডারিতে ফিল্ডিং প্রসঙ্গেও মুশফিক বলেছিলেন, ‘কোচরা চেয়েছেন বাইরে ফিল্ডিং করি। টিম ম্যানেজমেন্ট যেটা বলবে, সেটাই তো করতে হবে।’ তবে নাজমুল হাসান পাপন অন্য কথাই বললেন। তার মতে, ‘সে কোথায় ফিল্ডিং করবে, সে সিদ্ধান্ত টিম ম্যানেজমেন্টের ছিল না। সিদ্ধান্তটি ছিল তার ব্যক্তিগত। কেউ চাপিয়ে দেয়নি।’

বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন, অধিনায়কের পদে মুশফিক থাকবে কি না সেই বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেন নি তারা।

(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/অক্টোবর ০৯, ২০১৭)