মন ভালো না থাকলে ওষুধ কাজ করে না!
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : খুশি থাকতে তো সবাই চায়, কিন্তু হয় ক’জনে? আবার খুশি না থাকলে যে ওষুধ কাজ করবে না। আর ওষুধ ঠিক মতো কাজ না করলে শরীর চাঙ্গাও থাকবে না। তাই সুস্থ থাকতে খুশি থাকাটা জরুরি!
ভাবছেন খুশি থাকার সঙ্গে ওষুধের কাজ করার কী সম্পর্ক? সম্প্রতি ‘ব্রেন’ নামক একটি জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা পত্র অনুসারে কোনও ভ্যাকসিন বা ওষুধ খাওয়ার সময় যদি মনটা খুশি-খুশি থাকে, তাহলে ওষুধের কর্মক্ষমতা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রোগের প্রকোপ সারতে সময় লাগে না।
তাহলে কিভাবে আনন্দে থাকবেন? চলুন কিছু খাবার সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক যেগুলো মনকে প্রফুল্ল রাখতে সহায়তা করে-
১. মধু: এতে উপস্থিত ক্যাম্পেরল এবং কুয়েরসাটিন নামে দুটি উপাদান মস্তিষ্কের অন্দরে প্রদাহ কমানোর মধ্যে দিয়ে ডিপ্রেশন কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর একবার মানসিক চাপ কমে গেলে মনও আপনা থেকে চাঙ্গা হয়ে ওঠে। তবে মধুর গুণ এখানেই শেষ হয়ে যায় না। নিয়মিত মধু খেলে শরীরে এনার্জির ঘাটতি দূর হয়। ফলে শরীর চনমনে হয়ে ওঠে।
২. চেরি: এটি হল এক প্রকার প্রকৃতিক পেন কিলার, যা শরীরে প্রবেশ করার পর যন্ত্রণা তো কমায়ই, সেই সঙ্গে মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দিয়ে অনিদ্রা দূর করতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। আর যেমনটা আপনাদের সকলেরই জানা আছে যে ঘুম ঠিক মতো হল স্বাভাবিকভাবেই খিটখিটানি কমে গিয়ে মন অনন্দে ভরে ওঠে।
৩. মাছ: মনকে সুখ সাগরের সন্ধান দিতে চান? তাহলে মাছ খেতে ভুলবেন না যেন! কারণ এতে উপস্থিত ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড মুড সুইং কমায়। সেই সঙ্গে ডিপ্রেশনের মতো রোগকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।
৪. বিটরুট: শরীরে ভিটামিন বি এবং ফলেটের ঘাটতি দূর হলে মন খারাপের আশঙ্কাও দূর হয়। আর এই দুই পুষ্টিকর উপাদানের ঘাটতি মেটাতে বিটরুটের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই তো মনকে ভাল রাখতে প্রতিদিন বিটরুটের জুস খাওয়া পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।
৫. ডার্ক চকোলেট: স্বাদে একটু তিতকুটে বটে, তবে শরীর এবং মনকে চাঙ্গা রাখতে ডার্ক চকোলেটের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। কারণ এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং আনন্দামাইড, একদিকে যেমন স্ট্রেস লেভেল কমায়, তেমনি ফিল গুড হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে মনকে খুশিতে ভরিয়ে তুলতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/অক্টোবার ১১, ২০১৭)