বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করায় ছয় কিশোরী পুরস্কৃত
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : অদম্য সাহসিকতায় বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ করায় ছয় কিশোরীকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস পালন উপলক্ষে বুধবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ছয়জনের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য ও সঙ্গীত শিল্পী মমতাজ বেগম।
পুরস্কার প্রাপ্ত কিশোরীরা হলো-এসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশনের শামীমা আক্তার, আমিনা খাতুন (নীলা), লিলিমা, ব্র্যাকের মুক্তা আক্তার মৌ, হাঙ্গার প্রজেক্টের শাবানা আক্তার এবং ঘাস ফড়িংয়ের তুলি দেবনাথ।
কন্যাশিশুদের নানা চাহিদা ও প্রতিবন্ধকতাকে সকলের সামনে তুলে ধরা এবং তাদের সক্ষমতাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ব্র্যাক, এসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশন এবং অস্ট্রেলীয় হাইকমিশন যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভারসিটি, সামাজিক ক্ষমতায়ন এবং সমন্বিত উন্নয়ন কর্মসূচির পরিচালক আন্না মিঞ্জ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার স্যালি-অ্যান ভিনসেন্ট এবং বিশিষ্ট মনোবিজ্ঞানী ড. মেহতাব খানম, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা প্রমুখ।
অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার স্যালী-এ্যান ভিনসেন্ট বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় বাল্য বিবাহের হার বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশী। এ অঞ্চলের ৪৬ শতাংশ মেয়েশিশুর বিয়ে হয়ে যায় ১৮ বছরের মধ্যেই। এই কারণেই অষ্ট্রেলীয় সরকারের বৈদেশিক সম্পর্ক ও বাণিজ্য বিভাগ এ বিষয়ের সচেতনতা তৈরিতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।
পুরস্কারপ্রাপ্ত তুলি দেবনাথ নিজে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে আত্মপ্রত্যয়ী উল্লেখ করে জানান ‘শিশুর পেটে শিশু কেন, মায়ের পেটেইতো শিশু হবে।’- এ বোধ থেকেই তিনি বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে এগিয়ে এসেছেন।
অনুষ্ঠানে পুরস্কার পেয়ে উচ্ছ্বসিত অন্য সকলেই কিশোরী বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে অদম্য সাহসিকতা ও তাদের জীবন সংগ্রামের কাহিনী তুলে ধরেন।
(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/অক্টোবর ১১, ২০১৭)