বিশেষ প্রতিনিধি : পরস্পর যোগসাজশের মাধ্যমে বন্দর সংরক্ষিত এলাকা থেকে কন্টেইনার পাচারের অভিযোগে চট্টগ্রাম বন্দরের ১৫ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় নগরীর বন্দর থানায় মামলাটি করা হয়।

খালাসের দায়িত্বে থাকা দুই সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মকর্তাকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।

দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১-এর উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে বিকেল ৪টায় নগরীর বন্দর থানায় মামলাটি (মামলা নম্বর-২২) দায়ের করেন।

নগরীর বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল ইসলাম দ্য রিপোর্টকে জানান, বন্দর থেকে কন্টেইনার পাচারের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

এতে বন্দরের ১৫ কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১-এর উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

সিরাজুল ইসলাম জানান, পরস্পর যোগসাজশের মাধ্যমে বন্দরের সংরক্ষিত জেটি এলাকা থেকে আমদানি পণ্যবোঝাই কন্টেইনার পাচার ও ৩৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলায় চট্টগ্রাম বন্দরের পরিবহন বিভাগের ৬ জন, নিরাপত্তা বিভাগের ৯ কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের দুজনসহ মোট ১৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন- মো. হুমায়ুন কবির, অধীর কান্তি চক্রবর্তী, প্রদীপ কুমার মহাজন, মোস্তাফিজুর রহমান, শ্যামল কৃষ্ণ ভৌমিক, মো. আতিকুর রহমান, ছালেহ জহুর, সাবেক এটিআই চবক (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত), নিরাপত্তা বিভাগের সিরাজুল হক মোল্লা, এএসআই মো. আলী আজম চৌধুরী, মো. মনির আহম্মদ, মো. ছগির আহম্মদ, মো. হারুন চৌধুরী, মিজানুর রহমান, মো. কামাল উদ্দিন চৌধুরী, মো. নজরুল ইসলাম, নগরীর আগ্রাবাদ এলাকার সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এবকো এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আলম শাহ এবং এবকো এন্টারপ্রাইজের জেটি সরকার বরুণ কান্তি সেন।

(দ্য রিপোর্ট/কেএইচ/এএস/আরকে/ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৪)