স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে দাড়িতেও
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : গত কয়েক বছর ধরে যুবসমাজের মধ্যে প্যাম্পাডোর হেয়ার স্টাইল, সঙ্গে হালকা দাড়ি এবং গোঁফ রাখার একটা নতুন ট্রেন্ড চোখে পড়ে। সময়ের সঙ্গে ফ্যাশনে আসে নতুনত্ব। আর সবাই চায় সেই ফ্যাশনে চলতে। দাড়ি-গোঁফ রাখার স্টাইল কিন্তু আজকের নয়। সময়ের পরিবর্তনে ফিরে ফিরে এসেছে সেই দাড়ি রাখার চলই।
কিন্তু একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে দীর্ঘদিন দাড়ি রাখলে তাতে নানবিধ ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধতে শুরু করে।
তবে এ বিষয়েও কোনো সন্দেহ নেই যে দাড়ি রাখার একাধিক উপকারিতাও আছে। আপনাদের কী জানা আছে দাড়ি রাখলে স্কিন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বহুগুণে হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে আরো অনেক উপকার মেলে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. স্কিন ক্যান্সারের প্রকোপ হ্রাস পায়
সম্প্রতি প্রকাশিত বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে দাড়ি থাকলে আলট্রাভায়োলেট রশ্মি (ইউ ভি) ত্বকের সেভাবে ক্ষতি করতে পারে না, যতটা ক্লিন শেভ থাকলে করে থাকে। আর এ কথাও নিশ্চয় সবাই জানেন যে ‘ইউ ভি’ রশ্মির সংস্পর্শ থেকে ত্বক যত দূরে থাকবে, তত ত্বকের ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পাবে।
২. অ্যাজমা এবং অ্যালার্জির প্রকোপ কমবে
আপনি কি প্রায়শই ডাস্ট অ্যালার্জিতে ভুগে থাকেন? তাহলে দাড়ি রাখার কথা ভাবতেই পারেন। কারণ পরিবেশে উপস্থিত ডাস্ট পার্টিকালসগুলি যাতে নাকের মাধ্যমে শরীরের অন্দরে প্রবেশ করতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখে দাড়ি। আসলে দাড়ি হলো একটা প্রতিরোধ ব্যবস্থা, যাকে ভেদ করে ধুলো-বালির পক্ষে শরীরে প্রবেশ করা সম্ভব হয় না। এখানেই শেষ নয়, বিজ্ঞানীরা লক্ষ করে দেখেছেন অ্যাজমার মতো রোগের প্রকোপ কমাতেও গোঁফ এবং দাড়ি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৩. বয়স কমবে, বাড়বে না
অনেকেই মনে করেন দাড়ি রাখলে বুড়োটে লাগে। এই ধারণা কিন্তু একেবারে ভুল। বরং একেবারে উল্টো ঘঠনা ঘটে! আলট্রাভায়োলেট রশ্মির আঘাত কম লাগার কারণে যাদের দাড়ি রয়েছে, তাদের ত্বকের ক্ষয় কম হয়। ফলে কম বয়সীদের মতো দেখতে লাগে। তাই তো বন্ধুরা বেশি দিন পর্যন্ত যদি ত্বকের বয়স ধরে রাখতে চান, তাহলে দাড়ি রাখাটা মাস্ট কিন্তু!
৪. ঠাণ্ডার হাত থেকে রক্ষা করে
তাপমাত্রা যখন কমতে থাকে, তখন শরীরকে গরম রাখতে দাড়ি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। একাধিক কেস স্টাডি করে বিজ্ঞানীদের মনে আর কোনো সন্দেহ নেই যে, শরীরের তাপমাত্রা ধরে রাখতে বিয়ার্ড বাস্তবিকই সাহায্য করে। তাই খেয়াল করে দেখবেন ক্লিন শেভ থাকেন যারা তাদের তুলনায় দাড়িওয়ালারা কম রোগে ভুগে থাকেন।
৫. সংক্রমণের আশঙ্কা কমে
আমরা দাড়ি কাটি কীভাবে? কীভাবে আবার রেজার দিয়ে। একেবারেই! আর দাড়ি কাটতে গিয়ে কেটে যাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা, তাই না? সমস্যাটা হল এই ক্ষত থেকে মারাত্মক সংক্রমণ এবং তা থেকে মৃত্যু পর্যন্তও ঘটে থাকে। ভাববেন না একটুও বাড়িয়ে বলছি। গুগলে সার্চ করেও দেখতে পাবেন। এমন অনেক মানুষের নাম পাবেন যারা এমন ভাবেই সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তাই দাড়ি রাখবেন কি রাখবেন না, এই সিদ্ধান্ত আপনাদের! তবে দাড়ি রাখলে যে উপকার হয়, সে বিষয়ে নিশ্চয় আর কোনো সন্দেহ নেই।
৬. ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে
স্কিন স্পেশালিস্টরা লক্ষ করে দেখেছেন দাড়ি থাকলে ত্বকের আর্দ্রতা সহজে হারায় না। কারণ এ ক্ষেত্রে দাড়ি অনেকটা রক্ষাকবচের কাজ করে থাকে। ফলে সহজে স্কিন ড্রাই হয়ে যায় না। তাই তো যারা সারা বছরই কম-বেশি ড্রাই স্কিনের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তারা দাড়ি রাখার কথা ভাবতেই পারেন।
সূত্র : বোল্ড স্কাই
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/অক্টোবর ১২, ২০১৭)