দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : নাশকতা, হত্যা ও রাষ্ট্রদ্রোহসহ ১১ মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে শুনানির তারিখ ফের পিছিয়েছে। আগামী ২৭ নভেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত। মামলাগুলো হাইকোর্ট স্থগিত করায় হাইকোর্টের আদেশ দাখিলের জন্য সময়ের আবেদন করেন খালেদার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া।

রবিবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লা আসামিপক্ষের সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে এদিন ঠিক করেন।

মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে রাজধানীর দারুস সালাম থানার নাশকতার ৮টি, যাত্রাবাড়ী থানার ২টি ও রাষ্ট্রদ্রোহের ১টি মামলা ।

১১ মামলার মধ্যে যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণের বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। অপর ১০ মামলা ছিল অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য।

প্রসঙ্গত, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগে গত বছর ২৫ জানুয়ারি আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি দায়ের করা হয়। ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন।

এদিকে যাত্রাবাড়ী থানার মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরি পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রলবোমা হামলা হয়। এতে বাসের ২৯ যাত্রী দগ্ধ হন। পরে তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নূর আলম (৬০) নামের এক যাত্রী।

এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন থানার উপপরিদর্শক এসআই কে এম নুরুজ্জামান। ওই বছরের ৬ মে খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক বশির আহমেদ।
অন্যদিকে, ২০১৫ সালে দারুস সালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে আটটি মামলা দায়ের করা হয়। এই আট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়।
গত বছরে বিভিন্ন সময়ে মামলাগুলোয় চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/অক্টোবর ১৫, ২০১৭)