দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : আমরা উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন নিয়ে সব সময় বেশি উদ্বিগ্ন থাকি। ছুটে যাই চিকিত্সকের কাছে। কিন্তু নিম্ন রক্তচাপ বা লো ব্ল্যাড প্রেসার বা হাইপোটেনশন নিয়ে খুব একটা ভাবি না। যাদের লো ব্ল্যাড প্রেসার তাদের একদিকে যেমন সুবিধা আছে অন্যদিকে অসুবিধাও কম নয়।

উপকারিতার মধ্যে রয়েছে লো ব্ল্যাড প্রেসারের রোগীদের স্ট্রোক, কিডনির সমস্যা, হৃদরোগ সমস্যা হবার ঝুঁকি কম থাকে। তবে ব্ল্যাড প্রেসার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কমে গেলে মাথা ব্যথা, দুর্বলতা এমনকি অজ্ঞান পর্যন্ত হবার ঘটনা ঘটতে পারে। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে শকে যায় রোগী, বিপদ হবার ঝুঁকি পর্যন্ত থাকে। স্বাভাবিক রক্তচাপ বয়স এর ভেদে তারতম্য ঘটে।

একজন সুস্থ মধ্যবয়সী লোকের উচ্চ রক্তচাপ ১২০/৭০ মি: মি মারকারী থাকা উচিত। আর যাদের রক্তচাপ সিসটোলিক ৯০ এবং ডায়াসটোলিক ৬০ এর নিচে থাকে তাদের আমরা হাইপোটেনশন বা লো ব্ল্যাড প্রেসার আছে বলে ধরে নেই। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে রক্ত শূন্যতা, পানি শূন্যতা, টেনশন, অধিক ব্যায়ামের কারণে ব্ল্যাড প্রেসার কমে যেতে পারে। এছাড়া লো ব্ল্যাড প্রেসারের কারণে আকস্মিক মাথা ঘুরে পড়ে যাবার ঘটনাও ঘটে।

লো ব্ল্যাড প্রেসার বা হাইপোটেনশনের কোন সুনির্দিষ্ট চিকিত্সা নেই। লো প্রেসারের উপসর্গ অনুযায়ী চিকিত্সার প্রয়োজন পড়ে। যদি শরীরে পানি শূন্যতা ও ইলেকট্রোলাইট কমে যাবার কারণে লো প্রেসার হয় তাহলে শুধুমাত্র খাবার স্যালাইন মুখে খেলেই প্রেসার বেড়ে যায়। অনেকে এক চিমটি লবণও খেতে পারেন। এসব তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা বা ফার্স্ট এইড। তবে যাদের দীর্ঘ মেয়াদি লো প্রেসার আছে তাদের অবশ্যই কোন চিকিত্সকের পরামর্শ নেয়া উচিত। মনে রাখতে হবে দীর্ঘদিন ধরে লো প্রেসার থাকা ভালো নয়। এ ধরনের অবস্থায় চিকিত্সক লো ব্ল্যাড প্রেসারের কারণ সনাক্ত করে ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন। এছাড়া গ্রামেগঞ্জে প্রচুর ডাব পাওয়া যায়। ডাবের পানিও লো প্রেসারের ক্ষেত্রে উপকারী।

শুধু স্বাস্থ্য হীন হলেই যে লো প্রেসার হবে তাই নয়, মোটা মানুষেরও লো প্রেসার থাকতে পারে। যদি কোলেস্টেরল ও হার্ট ডিজিজের ঝুঁকি না থাকে তবে লো প্রেসারের রোগীরা একটু লবণ দিয়ে একটা সিদ্ধ ডিমও খেতে পারে। তবে খাবার স্যালাইন সবচেয়ে উপযোগী এবং তাত্ক্ষণিকভাবে ফলদায়ক।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/অক্টোবর ১৫, ২০১৭)