‘নাম ভুল ছাপা হইছে- আমি খুশি’
রাজীব দত্ত কবিতা ও মুক্তগদ্যের পাশাপাশি ছবি আঁকেন, ছবি নিয়ে নিয়মিত লেখেন। ইদানীং নজর কেড়েছে তার করা কোলাজধর্মী কিছু কাজ। দ্য রিপোর্টের পক্ষ থেকে তার মুখোমুখি হয়েছেন ওয়াহিদ সুজন
অনেক কিছুই তো লিখেন- কবিতা, মুক্তগদ্য ও শিল্প নিয়ে আলোচনা। বই বের করছেন না কেন?
আসল কথা হল- আসলে বিনয় নয়, যোগ্য হয়ে উঠতে পারি নাই। নিজের লেখা নিয়ে সন্তুষ্ট না।
কোন অর্থে সন্তুষ্ট না?
নিজের লেখার মান নিয়ে। এখনো পর্যন্ত নিজস্ব কোনো ভঙ্গি তৈরি হয় নাই।
এই মান কী বাংলাদেশের গড়পরতা মান, নাকি অন্য কিছু…
যেহেতু প্রথম বই। সেটা ভালোমতো প্রিপারেশন নিয়ে হতে হবে।
প্রথম বই কী নিয়ে হবে।
কবিতা।
‘কবি’ হিসেবে পরিচিতি কি স্বস্তিকর?
না। এটাই অস্বস্তির। মুক্তগদ্য ওইভাবে লিখি না। বসি, লিখে ফেলি।
আর ছবি, আঁকাআঁকি নিয়ে যে লেখালেখি।
ওটা বেশি লিখি নাই। মাত্র তিনটা লেখা লিখেছি।
ফ্রয়েড…
হ্যা, লুসিয়ান ফ্রয়েড, জয়নুল আবেদীন, আরেকটা লিখলাম সদ্য, বাহরাম খাঁ-কে নিয়ে।
এবার কোনো বইয়ের প্রচ্ছদ করছেন।
একটা করছি। নাম ভুল ছাপা হয়েছে। নায়েম লিটুর কবিতার বই ‘মান্দার’। আমার নামটা ভুল ছাপা হয়েছে- আমি খুশি। এটা বের করছে নান্দনিক। তারা আমার কাভার এডিট করছে।
মেলা থেকে কী কী বই কিনেছেন?
অনেকগুলো। বেশির ভাগ তরুণ কবিদের। এর মধ্যে আছে সজল সমুদ্র, জিনাত জাহান খান, তানিম কবির, মুজিব মেহেদী আর মনে পড়ছে না…
একটা তো গিফট পাইছেন।
কোনটা?
শাহাদাৎ তৈয়বের ‘ধ্বংস বিস্মৃতি আয়না ও নুনের ইতিহাস’।
হা হা হা।
এর বাইরে আর কী কী বই কিনেছেন।
শাহাদুজ্জামানের দুইটা- ‘শাহবাগ ২০১৩’ ও ‘অন্য এক গল্পকারের গল্প নিয়ে গল্প’। বিধান রিবেরুর শাহবাগ নিয়ে বইটা নিলাম। পারভেজ আলম আর জিয়া হাসানের বই দুইটা নেব।
যেসব বই বের হল তা নিয়ে পর্যবেক্ষণ কী।
এটা নানা পারসপেকটিভ থেকে দেখা যায়। যেমন- পরিচিত অনেক কবি বই বের করছেন। তাদের কবিতা মলাটবন্দি হিসেবে পাওয়া যাচ্ছে। দেখার সুযোগ আছে। শাহবাগ সদ্য ঘটনা। শাহবাগ নিয়েও অনেক বই বের হল।
দরকারি বই হিসেবে কী বেশি কিছু বের হইছে।
ভালো অনুবাদ আসে নাই। সব পুরানো অনুবাদ। শিশুতোষ বইয়ের সংকট তো আছে।
মেলার সম্প্রসারণ…
এটা আমার কাছে পজেটিভ। এক পাশে হলে স্বস্তি পাই না।
লেখালেখির পরিকল্পনা কী।
কোনো পরিকল্পনা নাই।
(দ্য রিপোর্ট/ডব্লিউএস/এইচএসএম/ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৪)