তৃতীয় প্রান্তিকে আইডিএলসির প্রতিটি শেয়ারে আয় বেড়েছে ১৮ শতাংশ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:
আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড ২০১৭ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয়(ইপিএস)হয়েছে ৪.৯০ টাকা, যা গত বছর একই সময়ে ছিলো ৪.১৪ টাকা বা ১৮ শতাংশ। একই সময়ে কর পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১৮০ কোটি ৯০ লাখ টাকা। বছরওয়ারী প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৫ শতাংশ। ২০১৭ সালে গ্রাহক সম্পদ ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৬১ কোটি টাকা।
মঙ্গলবার রাজধানীর দিলকুশয়া অবস্থিত আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টে লিমিটেডের কাযালয়ে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর ২০১৭) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদন প্রকাশ কালে আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের সিইও ও ম্যানেজিং ডাইরেক্টর আরিফ খান বলেন‘আমাদের ব্যাংকিং ব্যবসা এবং পুঁজিবাজার ব্যবসা উভয়ই ২০১৭ সালে এখন পর্যন্ত তাদের প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রেখেছে। ফলে, আমাদের প্রতিষ্ঠান ভালো আর্থিক ফলাফল অর্জন করেছে। আমরা এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে শেয়ারহোল্ডারদের সম্ভাব্য সর্বোত্তম ফলাফল প্রদানে সক্ষম হবো।’
আর্থিক প্রতিবেদন থেকে জানাগেছে,এই নয় মাসে আইডিএলসিতে ৮,৫৬৩ জন নতুন গ্রাহক যুক্ত হয়েছেন, যার ফলে লোন পোর্টফোলিও ১৩ শতাংশ বেড়ে ২০১৭-এর সেপ্টেম্বর শেষে ৭ হাজার ৬১ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। গ্রাহক সম্পদের এই প্রবৃদ্ধির মূল নিয়ামক ছিলো এসএমই লোন প্রসার, যা এই মেয়াদকালে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে আইডিএলসির এসএমই লোনের পরিমাণ প্রায় ৩,১৩১ কোটি টাকা যা প্রতিষ্ঠানের মোট লোন বুকের ৪৬ শতাংশ। একই সময়ে কনজ্যুমার লোনের পরিমাণ ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২ হাজার ৩৮০ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে।
উল্লিখিত সময়ে আইডিএলসি-এর সম্পদ অনুপাতে আয়(আরওএ ) এবং মূলধন অনুপাতে আয় (আরওই) যথাক্রমে ২.৭৫ শতাংশ এবং ২২.৯০ শতাংশে উন্নীত হয় ,যা বিগত বছরের একই সময়ে ছিলো যথাক্রমে ২.৩৮ শতাংশ এবং ২১.৯৮ শতাংশ। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে কোম্পানির নন পারফর্মিং লোন (এনপিএল) ২.৮৩ শতাংশ যা ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ছিলো ২.৯৮ শতাংশ।
আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের তিনটি সাবসিডিয়ারি- আইডিএলসি সিকিউরিটিজ লিমিটেড, আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং আইডিএলসি এ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের পারফরম্যান্সও ছিলো উল্লেখযোগ্য।
আইডিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর আরিফ খান প্রতিষ্ঠানের এই আর্থিক ফলাফলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
বিগত বছরের তুলনায় প্রতিষ্ঠানের বছরওয়ারী পরিচালন আয় ২৯ শতাংশ বেড়ে ৪৮৬কোটি ৩০ লাখ টাকায় উন্নীত হয়েছে। পরিচালন আয় বৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি ছিলো উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বিনিয়োগ আয় এবং পাশাপাশি নিট ইন্টারেস্ট আয়ের বৃদ্ধি ও ফি বাবদ আয়। প্রতিষ্ঠানটি অব্যাহতভাবে মানব সম্পদের উন্নয়নের প্রতি গুরুত্বারোপ করে চলেছে, যা তৃতীয় প্রান্তিকে ৬ হাজার ৪৯৩ কর্মঘন্টাব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচী আয়োজনের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছে।
আরিফ খান প্রতিষ্ঠানের সাফল্য ধরে রাখার আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, “যেহেতু লোন ডিপোজিট স্প্রেড দিন দিন সংকুচিত হচ্ছে এবং প্রতিযোগিতা প্রতিনিয়ত বাড়ছে সেহেতু পরবর্তী বছরগুলোতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাফল্য নির্ভর করবে তারা কীভাবে গ্রাহক সেবা, পোর্টফোলিওর মান এবং পরিচালন দক্ষতা বৃদ্ধি করছে তার উপর।