সিইসির ব্যাখ্যা পেয়েছি, বলতে চাই না: কাদের
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জিয়াউর রহমানকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠাতা বলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) যে বক্তব্য দিয়েছিলেন, আওয়ামী লীগ তার ব্যাখ্যা পেয়েছে। কিন্তু তা তারা বলতে চায় না।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আওয়ামী লীগের ২১ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সংলাপে বসেন সিইসি কে এম নুরুল হুদা। প্রায় দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে এই সংলাপ চলে।
সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ব্যাখ্যা পেয়েছি। বলতে চাই না। ব্যাখ্যা দিতে হলে নির্বাচন কমিশন দেবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার, অন্য নির্বাচন কমিশনার ও সচিব সবার বক্তব্য ছিল ইতিবাচক। ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ১১ দফা প্রস্তাব কমিশনের কাছে উপস্থাপন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ভোটে ইভিএম চালু করা, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) বাংলায় করার উদ্যোগে আওয়ামী লীগের সমর্থন আছে, নির্বাচনে অবৈধ অর্থ ও পেশিশক্তির ব্যবহার বন্ধে সংবিধানে বর্ণিত নির্বাচন সংক্রান্ত নির্দেশনা এবং বিদ্যমান নির্বাচনী আইন ও বিধিমালা নিরপেক্ষ ও কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা, তৃণমুল নেতা-কর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে প্রার্থী বাছাই এবং নির্বাচনের আগে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ না করা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রস্তাব হল, তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন এবং নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত নির্বাচন পরবর্তী সময়ের জন্য প্রতিটি নির্বাচনী এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর ন্যস্ত থাকবে। সেনা মোতায়েন প্রশ্নে আওয়ামী লীগ বলেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার প্রশ্নে কোন পরিস্থিতিতে প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের নিয়োগ করা যাবে, তা ১৮৯৮ সালে প্রনীত ফৌজদারী কার্যবিধির ১২৯-১৩১ ধারায় এবং সেনা বিধিমালায় ইনএইড টু সিভিল পাওয়ার শিরোনামে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/অক্টোবর ১৮, ২০১৭)