জামিন নিতে আদালতে যাবেন খালেদা জিয়া
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জিয়া অরফানেজ এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন নিতে আদালতে যাবেন খালেদা জিয়া।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দুর্নীতির অভিযোগের এক মামলায় তার আদালতে হাজিরার তারিখ রয়েছে। সকাল ১০টার দিকে বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত বিশেষ আদালতে হাজিরা দিতে যাবেন খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে বুধবার তিন মাস পর যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেছেন খালেদা জিয়া। এদিন বিকেল সোয়া ৫টার দিকে তিনি ঢাকায় পৌঁছান। যুক্তরাজ্যে থাকতেই ঢাকা ও কুমিল্লায় নাশকতা, দুর্নীতি ও মানহানির পাঁচটি মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়।
সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে ছিলেন খালেদা জিয়া। বিকেলে তিনি দেশে ফিরেছেন। এর মধ্যে এ দুই মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইবেন। আমরা আশা করছি আদালত তাকে জামিন দেবেন। এদিন খালেদা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য সুযোগ চাইবেন বলে জানা গেছে।
পুরান ঢাকার বকশিবাজারস্থ কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আকতারুজ্জামানের আদালতে মামলা দুটির বিচারকাজ চলছে।
গত ১২ অক্টোবর মামলাটি দুটিতে খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। একই সঙ্গে অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানির কার্যক্রম শেষ করে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপনের তারিখ ঠিক করে দেন। আর চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি জেরার পর্যায়ে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।
মামলাটিতে বিএনপি নেতা সচিব হারিছ চৌধুরী এবং তার তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান আসামি।
এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এই মামলাটি দায়ের করা হয়।
২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমান, প্রাক্তন এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রাক্তন সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়।
দুই মামলায় খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তৎকালীন বিচারক বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করেন।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/অক্টোবর ১৯, ২০১৭)