দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর কোম্পানি টেলিটক নারীদের বিনামূল্যে ২০ লাখ সিম (সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টিফিকেশন মড্যুল) প্রদান করবে। ‘অপরাজিতা’ নামের এই সিম বিতরণের কার্যক্রম ইতোমধ্যে উদ্বোধন করা হয়েছে।

সহজে ইন্টারনেটে প্রবেশ এবং স্বল্পমূল্যে ফোন করার মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে এ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

এ উপলক্ষে রবিবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম তার মন্ত্রণালয়ে ‘অপরাজিতা’সিম বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে তারানা হালিম বলেছেন, ‘এই উদ্যোগের মাধ্যমে আজ থেকে একজন নারী তার বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে যে কোন টেলিটক কাস্টমার কেয়ার সেন্টার বা খুচরো বিক্রেতার কাছ থেকে দুটি অপরাজিতা সিম সংগ্রহ করতে পারবেন।’

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, “কেউ পেছনে পড়বে না- এসডিজির এই নীতির অবলম্বনে টেলিটকও নারীর ক্ষমতায়নের জন্য তাদের সহজেই ইন্টারনেটে প্রবেশ এবং খুব কম খরচে কথা বলার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”

প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছেন, অপরাজিতা কর্মসূচি নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সুদুর প্রসারী অবদান রাখবে।

একজন ‘অপরাজিতা’ব্যবহারকারী তার সিম কার্যকর হওয়ার পর ১০ টাকা প্রি-লোডেড ব্যালেন্স পাবেন, যার মেয়াদ থাকবে পরবর্তী তিন মাস এবং ১ জিবি ডাটা ও ১০ মিনিট অন-নেট ও ৫ মিনিট অফ-নেট কল্ ৭ দিনের জন্য বিনামূল্যে পাবেন।

এ ছাড়াও এই সিম ব্যবহারকারী ৮ টাকায় ১ জিবি ডাটা ও ১৪ টাকায় ২ জিবি ডাটা পাবেন এক সপ্তাহের জন্য এবং সিম কার্যকরের পর থেকে পরবর্তী তিন মাস পর্যন্ত তার মেয়াদ থাকবে। সিম ব্যবহারকারী এই সুযোগ যতদিন ইচ্ছা গ্রহণ করতে পারবেন।

বর্তমানে যেসব নারী টেলিটকের সিম ব্যবহার করছেন, তারাও ইচ্ছে করলে তাদের সিম ‘অপরাজিতা স্কিমে’রূপান্তর করতে পারেন।

একটি এনআইডি দিয়ে সর্বোচ্চ দু’টি সিম নেওয়া যাবে।

এর আগে আরেকটি প্রকল্পের মাধ্যমে নারীদের মধ্যে ১০ লাখ সিম প্রদান করা হয়েছে উল্লেখ করে তারানা হালিম বলেছেন, ‘টেলিটক ব্যবসা করে না, বরং সেবা প্রদান করে এবং বাজারের ভারসাম্য রক্ষা করে।’

টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কুদ্দুস ও অন্যান্য কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/অক্টোবর ২২, ২০১৭)