প্রাণ-আরএফএল’র শ্রমিককে চলন্ত গাড়িতে ধর্ষণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জ সদর উপজেলার অলিপুরে অবস্থিত প্রাণ-আরএফএল কোম্পানির এক শ্রমিককে চলন্ত গাড়িতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষণের পর ২০ বছর বয়সী ওই তরুণীকে বাগানে ফেলে যায় ধর্ষকরা। এতে ওই তরুণীর একটি পা ভেঙে গেছে।
বর্তমানে ধর্ষিত ওই তরুণী হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে দেখতে হাসপাতালে যায় হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিনুল হকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লস্করপুর ইউনিয়নের গঙ্গানগর গ্রামের জনৈক ব্যক্তির কন্যা এই তরুণী। অভাব অনটনের কারণে হবিগঞ্জের ওলিপুরে অবস্থিত প্রাণ-আরএফএল কোম্পানিতে চাকুরী নেয়। সেখানে সে এক বছর ধরে কাজ করে আসছে।
গত রবিবার রাত ৮টায় কোম্পানিতে কাজ শেষে বাড়িতে যেতে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করে। এ সময় একটি ম্যক্সি গাড়ি আসলে সে গাড়িতে উঠে। চুনারুঘাট উপজেলার বড়কুটা গ্রামের আব্দুল মতিনের পুত্র ম্যাক্সি চালক লিটন মিয়া (২০) ও গাড়ির পেছনে অপরিচিত দুই যুবক ছিল। ম্যাক্সি চালক লিটন গাড়িটি শায়েস্তাগঞ্জের দিকে না নিয়ে শাহজীবাজার রাবার বাগানে নিয়ে যায়। তখন ওই তরুণী কোথায় নিয়ে যাচ্ছে জিজ্ঞাসা করলে চালক লিটন জানায় যে আরো দুইজন যাত্রী আনতে যাচ্ছে। বাগানে নিয়ে যাওয়া অবস্থাতেই তার দুই সহযোগীর সাহায্যে চলন্ত গাড়িতে লিটন তাকে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে সে চিৎকার শুরু করলে লম্পট লিটন ওই যুবতীর মুখে গামছা বেঁধে ধর্ষণ করে চলন্ত গাড়ি থেকে বাগানে ফেলে দিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন ওই যুবতীকে উদ্ধার করে ওই দিন রাতেই হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এদিকে, চলন্ত গাড়ি থেকে পড়ে যাওয়ায় তরুণীর একটি পা ভেঙ্গে গেছে। তার অবস্থা আশংকাজনক।
হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিনুল হক বলেছেন, ‘আমরা মেয়েটির সাথে কথা বলেছি। ঘটনার পর থেকে লম্পট লিটন আত্মগোপনে রয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা দায়ের হলেই তাকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান চালাবে।’
(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/অক্টোবর ২৪, ২০১৭)