দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রাজধানীর বস্তিবাসীদের ঠাঁই দিতে মিরপুরে দশ হাজার ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের এ প্রকল্পের ভিত্তিফলক উন্মোচন করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই। বস্তির দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো আমাদের লক্ষ্য। কাজেই বস্তিবাসীর জন্য ভাড়াভিত্তিক আবাসিক ফ্ল্যাট করে দিচ্ছি।

তিনি বলেন, সরকার গৃহহীন ও ভূমিহীন সব মানুষের আবাসনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। আমরা প্রত্যেকটা মানুষের কথা চিন্তা করি, প্রত্যেকের জন্য একটা জায়গা করে দিতে চাই, সুন্দর ব্যবস্থা করে দিতে চাই।

হাসিনা বলেন, একটি মানুষও গৃহহারা থাকবে না, সেটাই আমাদের নীতি। এটা জাতির পিতার নির্দেশ।

জানা গেছে, বস্তিবাসীদের জন্য এই ফ্ল্যাট হবে মিরপুর হাউজিং এস্টেটের ১১ নম্বর সেকশনে। প্রথম পর্যায়ে দুই একর জমিতে পাঁচটি ১৪তলা ভবন নির্মাণ করা হবে। প্রতিটি ভবনে থাকবে ১১৭টি ফ্ল্যাট। ওই পাঁচটি ভবনে মোট ৫৩৩টি পরিবার বসবাস করতে পারবে।

প্রথম পর্যায়ে ব্যয় হবে ১১১ কোটি টাকা। প্রথম পর্যায়ের কাজ চলতি মাসে শুরু হয়ে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। ৪৮৩ বর্গফুট আয়তনের প্রতিটি ফ্ল্যাটে দুটি শোবার ঘর (বেডরুম), একটি বসার ঘরের সঙ্গে খাবার জায়গা (লিভিং কাম ডাইনিং), রান্নাঘর, আলাদা গোসলখানা (বাথরুম) ও টয়লেট এবং একটি বারান্দা থাকবে। প্রতিটি ভবনে থাকবে কমিউনিটি হল। একটি মূল সিঁড়ির সঙ্গে দুটি লিফট এবং দুটি সার্ভিস লিফট থাকবে। প্রকল্প এলাকার অর্ধেক জায়গা খেলার মাঠ, পার্ক, সবুজায়ন ও রাস্তার জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে।

প্রতিটি ফ্ল্যাট দশ বছরের জন্য ভাড়া দেওয়া হবে। দুই বছরে পাঁচ শতাংশ হারে ভাড়া বাড়বে। দ্বিতীয় পর্যায়ে আট একর জমিতে ১৪ তলার ৮০টি ভবন নির্মাণ করা হবে। সেখানে জায়গা হবে নয় হাজার ৪৬৭টি পরিবারের।

ভিত্তিফলক উন্মোচনের আগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি প্রতিটি বস্তিতে জরিপ করিয়েছেন, সেখানে সমাজের বিভিন্ন ধরণের চিত্র পেয়েছেন।

(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/অক্টোবর ২৬, ২০১৭)