য‌শোর অ‌ফিস : যশোরের চৌগাছায় একটি ছিনতাই মামলা তুলে নেয়ার দাবিতে মশিয়ার রহমান (৩২) নামের এক স্কুল শিক্ষককে গাছে বেধে মারপিট করেছে দুর্বৃত্তরা। তাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন সাবেক এক ইউপি সদস্য।

মিশয়ার উপজেলার ছোট কাকুড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং গয়ড়া গ্রামের আলতাফ হোসেন খানের ছেলে। 

বৃহস্পতিবার (২৬ অ‌ক্টোবর) সকাল সাড়ে আটটার সময় উপজেলার গয়ড়া গ্রামের রেজাউল ইসলামের চায়ের দোকানের পাশে একটি মেহগনি বাগানে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত হন ওই শিক্ষকের বৃদ্ধা মা মোমেনা বেগম এবং স্ত্রী রুমা আক্তার। বর্তমানে তারা চৌগাছা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

মার‌ধরের শিকার  ওই আহত শিক্ষক জানান, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে তার ভাই‌পো হৃদয়কে গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আতাউল হকের নেতৃত্বে ইন্তাজ আলী, শুকুর আলী, মুন্তাজ আলীসহ ৬/৭ জন একটি বাঁশ ঝাড়ের কাছে বেদম মারপিট করে এবং তার কাছ থেকে ১লক্ষ টাকা ছিনতাই করে । আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে চৌগাছা হাসপাতাল এবং পরে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ভাই জিয়াউর রহমান বাদি হয়ে চৌগাছা থানায় মামলা দায়ের করেন। যার নং ১০ তারিখ ৫/১০/২০১৭। মামলাটি তুলে নেয়ার জন্য আসামিরা তা‌দের পরিবারকে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে।

তি‌নি ব‌লেছেন, ‘বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটার সময় আমি ১০,৬১৫ টাকা নিয়ে গ্রামেই (আগে থেকে বায়না দিয়ে রাখা) একটি ছাগল কিনতে যাচ্ছিলাম। রেজাউলের চায়ের দোকানের পাশে পৌঁছালে সাবেক মেম্বার আতাউল হকের নেতৃত্বে গ্রামের মৃত দুঃখের ছেলে মুন্তাজ আলী, মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে শুকুর আলী, ইসলামের ছেলে মজনু, মংলার ছেলে রোস্তম, মজনুর ছেলে শামীম, শামসুলের ছেলে শামনুর আমার পথরোধ করে মামলা তুলে নিতে বলে। রাজী না হওয়ায় এক পর্যায়ে তারা আমাকে পাশের একটি মেহগনি গাছে বেধে ফেলে নির্যাতন শুরু করে। এ সময় সংবাদ পেয়ে আমার স্ত্রী রুমা আক্তার ও ৮০ বছর বয়সী বৃদ্ধা মা মোমেনা খাতুন এবং গ্রামের আব্দুল জলিল খানের ছেলে ফিরোজ খান এগিয়ে আসলে তাদেরকেও বেদম মারপিট করে আহত করা হয়। এক পর্যায়ে একটি মটরসাইকেলের শব্দে পুলিশ এসেছে মনে করে তারা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।’

অ‌ভিযুক্ত সা‌বেক ইউ‌পি সদ‌স্যের মোবাইল নাম্বার বন্দ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়‌নি।

এ বিষয়ে চৌগাছা থানার সেকেন্ড অফিসার আকিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘ঘটনা শুনেছি। তবে এ বিষয়ে কেউ এখনো থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/অক্টোবর ২৬, ২০১৭)