খালেদার জন্য মিছিল করায় হামলার শিকার!
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে মিছিল ও সমাবেশ করায় নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলাকারীরা ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের বলে অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তরা।
অভিযোগ উঠেছে, ওই এলাকার সরকার দলীয় এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর একজন ভগ্নিপতি, যিনি স্থানীয় ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, তার নেতৃত্বে ওই হামলায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) সকালে কয়েক দফা ওই হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গত ২৮ অক্টোবর খালেদা জিয়া নেতাকর্মী নিয়ে গাড়ি বহরে করে নারায়ণগঞ্জের উপর দিয়ে কক্সবাজার যান। সেদিন খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ সমর্থিত ফতেহপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আলামিন খানের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, আওয়ামী লীগের এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর আপন ভগ্নিপতি ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তালিব মোল্লার নেতৃত্বে যুবলীগ নেতা রেজাউল মেম্বার, জসিমউদ্দীন, জিএস সাইফুল ইসলাম, এমপি বাবুর ভাগ্নে ফয়সাল ও লতিফ মেম্বারের নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী সকাল সাড়ে ৯টায় প্রথমে ফতেহপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আলামিন খানের বাড়িতে হামলা চালায়। ওই সময় আলামিন খান বাড়িতে না থাকলেও যুবদল কর্মী মানিককে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর ও বাড়িঘর ভাঙচুর করে। মানিককে নরসিংদির মাধবদী প্রাইম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরে হামলাকারীরা উপজেহলার বগাদি এলাকায় যুবদল নেতা মোমেনের বাড়িতে হামলা করে মোমেনকে মারধর করা হয়। তাকে আহতাবস্থায় কাঁচপুর অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কালিরহাট এলাকায় যুবদলের নেতা ফারুকের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। ফারুককে আহতাবস্থায় মাধবদি প্রাইম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কালিপাড়ায় যুবদল নেতা বেলায়েত হোসেনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ছাড়াও বগাদি এলাকার আনোয়ার হোসেন ও তাহের আলীর বাড়িতে হামলা ভাংচুর করা হয়েছে। এ এলাকার যুবদল নেতা হানিফ মিয়াকে মারধর করা হয়েছে। তার একটা পা ভেঙ্গে গেছে।
ফতেহপুর ইউনিয়ন যুবদলের সেক্রেটারি আলামিন খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আমাকে না পেয়ে আমার ভাইকে মারধর করেছে। তার দু’টা পা ভেঙ্গে দিয়েছে যুবলীগ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী বাহিনী।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনের কক্সবাজার যাওয়ার সময়ে আমার নেতৃত্বে আড়াইহাজারের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী মহাসড়কে অবস্থান নেন। এসব কারণে আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে সরকার দলের লোকজন এ হামলাটি করে।
আড়াইহাজার থানার ওসি এম এ হক জানান, আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি।
ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তালিব জানান, সোমবার সকালে আমরা মাদক ও ইভটিজিং বিরোধী র্যালি করছিলাম। তখন এলাকাতে কিছু মাদক বিক্রেতাকে দেখে র্যালি থেকে লোকজন ধাওয়া করে। আমরা কোন রাজনৈতিক নেতার বাড়িতে কিংবা কোন নেতাকর্মীকে মারধর করি নাই।
(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/অক্টোবর ৩০, ২০১৭)