মাদারীপুর প্রতিনিধি : মোবাইল ফোনে জীনের বাদশা, পীর-দরবেশ বা সাধু সন্নাসী সেজে লটারির লোভ বা ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়কারী প্রতারক চক্রের ৩ সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের সদস্যরা। এ সময় প্রতারণার কাজে স্বর্ণ হিসেবে ব্যবহার করা ২২টি পিতলের সরঞ্জাম, ২টি ল্যাপটপ, ২৩টি মোবাইল ফোন, ৮১টি সিম কার্ড ও ৪ লাখ ৭৮ হাজার ৪শ’ টাকা, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক জব্দ করা হয়।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার বটতলা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলো- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার চতলারপাড় গ্রামের রাসেল মিয়া (২১) ও একই গ্রামের শাকিল মাতুব্বর (১৬) এবং উপজেলার পাতরাইল গ্রামের সামসু মাতুব্বর (৩৫)।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে র‌্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মো. রাকিবউজ্জামান এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ব্যক্তির মোবাইলে কল দিয়ে জীনের বাদশা পরিচয় দেয় এই চক্রের সদস্যরা। এমনকি কখনও সাধু-সন্ন্যাসী সেজে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে নারী ও সমাজরে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এরপর যে মোবাইল থেকে কল করা হয়, সেটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে রাখে এই চক্রের সদস্যরা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মানুষ যখন ঘুমে থাকে, গভীর রাতে এই চক্রের সদস্যরা নির্জন কোন স্থানে গিয়ে ফোন করে টাকা হাতিয়ে নিয়ে ধোকা দেয়। এমন প্রতারণার শিকার বেশ কয়েকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে গত দুই মাস ধরে এই চক্রটিকে ধরতে কাজ শুরু করে র‌্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের সদস্যরা। পরে রবিবার রাতে এই চক্রের মূলহোতা রাসেল মিয়াসহ ৩ জনেক আটক করা হয়।

আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলেও র‌্যাবের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া র‌্যাব আরো জানায়, এই জীনের বাদশা প্রতারক চক্রের বাকি সদস্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানায় মামলার পর আটককৃতদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/অক্টোবর ৩০, ২০১৭)