‘জঙ্গি’ পাইলট ৭ দিনের রিমান্ডে
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিমান নিয়ে ‘নাশকতার পরিকল্পনা’র অভিযোগে গ্রেফতার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফার্স্ট অফিসার সাব্বির এমামের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সাব্বির ছাড়াও গ্রেফতার হওয়া আরও পাঁচজনকেও বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
বুধবার (১ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম মো. আহসান হাবিব শুনানি শেষে এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালতে সাব্বিরের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। তিনি রিমান্ড শুনানিতে নিজেই বক্তব্য দিয়েছেন। সেখানে সাব্বির দাবি করেছেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। জঙ্গি আবদুল্লাহর সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না।
পাইলট সাব্বির বলেছেন, ‘গত ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত আমি ফ্লাই করেছি। ফ্লাই করতে হলে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার ছাড়পত্র লাগে। কোথাও থেকে আমার বিরুদ্ধে কোনো খারাপ প্রতিবেদন নেই। ২০১৫ সাল থেকে আমার মা সুলতানা পারভীনের সঙ্গে আমার কোনো কথা হয় না। মা মাঝে মধ্যে আমার বাসায় এলেও আমি ২০১৫ সাল থেকে বাড়িতে যাইনি। আমার মামাতো ভাই আসিফকেও ধরে আনা হয়েছে। মিল্লাতকে আমি চিনিও না এবং কোনোদিন দেখিওনি।’
সাব্বির আরো বলেছেন, ‘২০১১ সাল থেকে আমি ফ্লাই করি। কেউ একজন আমার নাম বললো আর আমি দোষী হয়ে গেলাম? আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগই সত্য নয়।’
গত সোমবার দিবাগত রাত দুইটা থেকে মঙ্গলবার বেলা ১১টা পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুরের দারুস সালামের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে র্যাব সাব্বির এমামসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে। র্যাব জানায়, সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিদের বাড়িতে বিমান হামলার টার্গেট ছিল তাদের। জঙ্গি আবদুল্লাহর ছক অনুসরণ করে তার এই পরিকল্পনা করছিলেন।
র্যাব জানায়, সাব্বির ২০০৯ সালে বাংলাদেশ ফ্লাইং একাডেমি থেকে উড়োজাহাজ চালানোর প্রশিক্ষণ নেন। ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত রিজেন্ট এয়ারওয়েজে চাকরি করেন। ওই বছরই তিনি বিমানের পাইলটের চাকরি নেন। বিমানের ফার্স্ট অফিসার হিসেবে সাব্বির বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজ চালাতেন। গত ৩০ অক্টোবর তিনি ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করেন। তবে জঙ্গি আবদুল্লাহর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা ছিল। নিহত জঙ্গি সারোয়ার জাহানের কাছ থেকে সাব্বির বায়াত গ্রহণ করেন। গুলশানে হলি আর্টিজানে হামলার আগে ও পরে নাশকতার পরিকল্পনা ছিল তার। এরই অংশ হিসেবে সাব্বির বিমান চালিয়ে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের বাসভবনে আঘাতের পরিকল্পনা করেন।
(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/নভেম্বর ০১, ২০১৭)