ছাত্রলীগ নেতা হত্যা : যশোর আ’লীগ দ্বিধাবিভক্ত
যশোর অফিস : যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন ইমন ইত্যাকাণ্ডকে ঘিরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। গত ২৮ অক্টোবর গভীর রাতে ইমনকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এরপর থেকে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষ একে অপরকে দায়ী করে শহরে মিছিল, সমাবেশ করেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছে দুই পক্ষ।
বেলা ১২টায় যশোর জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে ইমন হত্যাকাণ্ডের জন্য যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথকে দায়ী করা হয়।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছালছাবিল আহমেদ জিসান তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘গত চার বছরে সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের নির্দেশে মোহিত নাথ তার পোষ্য সন্ত্রাসীদের দিয়ে সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, বাস্তুহারা লীগ নেতা মঞ্জুর রশীদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আব্দুল মান্ননসহ অন্তত ছয়জন নেতাকে হত্যা করিয়েছে। সর্বশেষ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ইমনকে হত্যা করা হয়। আর এসব হত্যা মিশনে অংশ নেওয়া সন্ত্রাসীরা সংসদ সদস্য নাবিল আহমেদ যশোরে আসলে তার সাথে সাথে থাকেন। তিনি তার প্রশাসনিক ক্ষমতাকে ব্যাবহার করে এসব সন্ত্রাসীদের রক্ষা করছেন।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি নিয়ামত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল, বর্তমান সভাপতি রওশন ইকবাল শাহী, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক রবিউল ইসলাম, শহর ছাত্ররীগের আহবায়ক মেহেদী হাসান রনি প্রমুখ।
এই সংবাদ সম্মেলনের কয়েক ঘন্টা পর যশোর প্রেসক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সদর উপজেলা যুবলীগ ও শহর যুবলীগ।
এ সময় শহর যুবলীগের আহবায়ক মাহমুদুল হাসান মিলু লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘ইমন হত্যাকাণ্ডের খুনিদের বাঁচাতে আওয়ামী লীগের একটি অংশ চক্রান্ত করছে। সেই চক্রান্তের অংশ হিসেবে সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ ও শহর যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক মেহেবুবুর রহমান ম্যানসেলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ছাত্রলীগের নেতারা সংবাদ সম্মেলনে যে সব অভিযোগ করেছেন তার কোন ভিত্তি নেই। মূলত প্রকৃত খুনিদের আড়াল করতেই তাদের এই চক্রান্ত।’
এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মুনির হোসেন টগর, সাংগঠনিক সম্পাদক মঈনউদ্দিন মিঠু, সদর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক অশোক বোস, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ফয়সাল খান প্রমুখ।
(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/নভেম্বর ০২, ২০১৭)