প্রতিপক্ষের হামলায় পরীক্ষা দেওয়া হলো না রিমার
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি : মুন্সীগঞ্জে চরকেওয়ার ইউনিয়নের নলবুনিয়াকান্দি এলাকায় প্রতিপক্ষের দুই দফা হামলায় জেএসসি পরিক্ষার্থী সহ ১০ জন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রথম দফায় মারামারি শেষে দ্বিতীয় দফায় জেএসসি পরিক্ষার্থীকে রিমা আক্তারকে মারধর করা হয়। হাসপাতালে ভর্তি থাকায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে নি রিমা।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন-নুর মোহাম্মদ (৩২), জহির (২৬), মালেক দেওয়ান (৫৭), রাসেল (২৪), রিমা আক্তার (১৪)। আহতদের জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে নুর মোহাম্মদকে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
স্থানীয় মিছির আলী জানান, সকাল ৮টার দিকে সাইদুর মোল্লার লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে নুর মোহাম্মদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে সবাইকে মারধর করে।
তিনি বলেন, ‘নুর মোহাম্মদ সহ ৩জনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয় লোকদের সহয়তায় তাদেরকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে নুর মোহাম্মদের অবস্থা গুরুতর হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।’
এদিকে সকাল ৯টার দিকে লতিফ দেওয়ানের মেয়ে রিমা আক্তার (১৪) জেএসসি পরীক্ষা দিতে গেলে রাস্তায় সাইদুর মোল্লার লোকজন রিমাকে একা পেয়ে লাঠি সোটা দিয়ে গুরুতর জখম করে। রিমা অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন রিমাকে মুন্সীগঞ্জে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এতে রিমা আক্তার (১৪) জেএসসি বাংলা ২য় পত্র পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি।
আহত রিমা বলেছে, ‘সকালে দিকে মারামারি হয়েছিল আমাদের বাড়িতে। আমিতো মারামারি করিনি ? বাংলা ২য় পত্র পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিলাম। পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার পথে কিছু লোক আমাকে মারধর করলে আমি মাটিতে পরে যাই। চোখ খুলে দেখি হাসপাতালে শুয়ে আছি।’
নুর মোহাম্মদরে স্বজন হৃদয় জানান, গত ৩০ অক্টোবর রাত ৭টার দিকে লতিফ মোল্লার ভাগনীর সাথে শেরকান্দি এলাকার শাহাদাতের (প্রেমের সর্ম্পক) দেখা করার কথা ছিল। ওই দিন রাতে এদের দুইজনকে এক ঘরে আটক করে গ্রামবাসী। এতে ছেলেকে মারধর করে ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই সময়েই এক পর্যায়ে লতিফ মোল্লার লোকদের সাথে আমাদের কথা কাটাকাটি হয় এবং ঘটনা ওই দিন শেষ হয়ে যায়। কিন্তু বৃহস্পতিবার লতিফ মোল্লার স্বজনরা সাইদুর মোল্লা সহ আমাদের হামলা চালায়।’
এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার এসআই সাচ্চু মিয়া বলেছেন, ‘উভয় পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে এক পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’
(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/নভেম্বর ০২, ২০১৭)