মা-ছেলে খুন : করিম ও তৃতীয় স্ত্রী রিমান্ডে
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রাজধানীর কাকরাইলে গত বুধবার মা-ছেলে খুনের ঘটনায় নিহত শামসুন্নাহারের স্বামী আব্দুল করিম ও তার তৃতীয় স্ত্রী শারমিন মুক্তাকে ছয় দিন করে রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত।
এ দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে প্রত্যেককে ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশিদ আলম আসামিদের জামিন আবেদন নাকচ করে রিমান্ডের অনুমোদন দেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলী হোসেন আসামিদের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’
কাকরাইলে রাজমনি প্রেক্ষাগৃহের কাছের একটি বাড়িতে বুধবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় খুন হন গ্রোসারি ব্যবসায়ী করিমের প্রথম স্ত্রী শামসুন্নাহার ও তার ছেলে সাজ্জাদুল করিম শাওন। শামসুন্নাহারের বড় দুই ছেলে বিদেশে থাকেন।
মুন্সীগঞ্জের শামসুন্নাহার ব্যবসায়ী করিমের প্রথম স্ত্রী। করিমের দ্বিতীয় স্ত্রী ফরিদার সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর তিনি চার বছর আগে মুক্তাকে বিয়ে করেন বলে পুলিশ জানায়।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, সম্পত্তি ও পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে এই জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে।
হত্যাকাণ্ডের সময় করিম বাসায় ছিলেন না। তবে ঘটনার দিন রাতেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে থানায় নিয়ে যায় রমনা থানা পুলিশ। আর তার তৃতীয় স্ত্রী সিনেমার অভিনয় শিল্পী মুক্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নয়া পল্টনের একটি বাসা থেকে বৃহস্পতিবার সকালে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত শামসুন্নাহারের ভাই আশরাফ আলী মামলা দায়ের করার পর করিম ও মুক্তাকে তাতে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। মামলায় মুক্তার ভাই আল আমিন জনিকেও আসামি করা হয়েছে। তবে তাকে এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি।
(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/নভেম্বর ০৩, ২০১৭)