‘সেনাবাহিনীর ওপর অবরোধে পরিস্থিতি খারাপ হবে’

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওপর যুক্তরাষ্ট্র অবরোধ আরোপ করলে তা খারাপ পরিণতি বয়ে আনবে বলে মনে করছে মিয়ানমার। দেশটির নেত্রী অং সান সু চির মুখপাত্র জাও হতাই-এর বরাত দিয়ে শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ সংবাদ দিয়েছে।
রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওপর নতুন করে অবরোধ আরোপের প্রস্তাব এনে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে একটি বিল উত্থাপন করা হয়েছে। এর আগে গত বছর এ অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত অবরোধের ফলে সেনা কর্মকর্তারা ওয়াশিংটন সফর করতে পারবেন না। একই সঙ্গে দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তাও বন্ধ হয়ে যাবে।
সু চির মুখপাত্র বলেছেন, ‘দেশের অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য অভ্যন্তরীণ স্থিতিশলীতা দরকার। আন্তর্জাতিক অবরোধের ফলে ভ্রমণ, ব্যবসায় বিনিয়োগে সরাসরি প্রভাব পড়বে। এ ছাড়া আরো খারাপ পরিণতি হবে।’
আগামী ১৫ নভেম্বর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন মিয়ানমার সফর করবেন। এ সময় মিয়ানমারের কর্মকর্তারা রাখাইন রাজ্যে সরকারের উদ্যোগ সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেবেন।
জাও হতাই বলেছেন, ‘আমরা তাকে (রেক্স টিলারসন) বলব আমরা কী করছি। আমরা যেটা করব না সেটা বলা যাবে না। আর আমরা জানি না যুক্তরাষ্ট্রের নীতি কী।’
সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর জাও হতাই আধা-বেসামরিক প্রশাসনে শুরু থেকেই আছেন। তিনি বলেছেন, ‘তাতমাদাও (মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এই নামেই পরিচিত) মিয়ানমারের রূপান্তরে সংযুক্ত থাকবে।’
সু চির মুখপাত্র আরো বলেছেন, ‘দেশের পুনর্গঠনের কাজ কেবল সরকার করতে পারে না। এটা স্পষ্ট যে, তাতমাদাওকে যুক্ত থাকার দরকার। ২০০৮ সালের সংবিধান অনুযায়ী তাতমাদাওয়ের সঙ্গে সমঝোতায় যেতে হবে।’ তিনি বলেছেন, ‘অবরোধ ও চাপ সরকারের কাজে প্রভাব ফেলে। আগের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, তারা অবরোধ আরোপ করলে ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে না।’
গত ২৫ আগস্ট রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান চালায় মিয়ানমার। এতে আন্তর্জাতিক মহল থেকে দেশটির বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়। অভিযানের পর থেকে ছয় লক্ষাধিক রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/নভেম্বর ০৩, ২০১৭)