দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : এবার মাল্টা চাষ হচ্ছে বগুড়ায়। জেলার ১২ উপজেলায় কৃষি বিভাগের সহযোগিতা নিয়ে চাষিরা মাল্টা চাষ শুরু করে দিয়েছেন। চাষিরা মাল্টার চারা রোপণ করার পর এখন বাগানের যত্ন নিচ্ছেন।

জেলার কৃষি বিভাগ বলছে, কয়েকটি বাগানের মাল্টা ফল ইতোমধ্যে পাওয়া গেছে। আগামী বছর থেকে স্থানীয়ভাবে চাষকৃত মাল্টা ভোক্তার হাতে পৌঁছানো যাবে। জেলায় এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ হেক্টর জমিতে মাল্টা চাষ হয়েছে।

কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, ২০১৫ সালে বগুড়ার নন্দীগ্রাম, শাজাহানপুর, কাহালু, বগুড়া সদর ও শেরপুর উপজেলায় কয়েকজন ব্যক্তি নিজ উদ্যোগে মাল্টা চাষ শুরু করেন। এর আগে বগুড়ার কয়েকটি নার্সারি মালিক মিষ্টি মাল্টার চাষ করেন নিজ বাগানে এবং বাড়ির ছাদে । সে সময় ছিল শখের বসে মাল্টা চায়। এবার জেলায় বাণিজিভাবে মাল্টার চাষ শুরু হয়েছে। মাল্টার বাগান মালিক ও কৃষি অফিস বলছে, আগামী বছরে বগুড়ার উৎপাদিত মাল্টা ক্রেতাদের হাতে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টি কালচার সেন্টারের উপপরিচালক আব্দুর রহিম জানান, ২০১৫ সাল থেকে জেলায় কিছু কিছু বাণিজ্যিকভাবে মাল্টা চাষ শুরু হয়। জেলার মাটি ও আবহাওয়া ভাল বলে এ জেলার মাল্টার ফল মিষ্টি। দেশে যে সব মাল্টা পাওয়া যায় তা টক। কিন্তু বগুড়ার যে মাল্টা পাওয়া যাবে তা হবে মিষ্টি। জেলার ১২টি উপজেলায় মাল্টা চাষে আগ্রহী করে তুলতে বারী-১ জাতের মাল্টার চারা বিতরণ করা হয়েছে। চাষিরা সে চারা দিয়ে বাণিজ্যিক ভাবে মাল্টা বাগান করে এখন ফলন পাওয়ার আশা করছেন। সরকারি অর্থায়নে মাল্টা চাষিদের প্রশিক্ষণ, মাল্টার চাষ প্রণালি বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করার পাশাপাশি কৃষকদের টিএসপি সার ১৫ কেজি, এমপিও সার ১৫ কেজি, জিপসাম ১৮ কেজি ও একটি সাইন বোর্ডও বিতরণ করা হয়েছে।

বগুড়ার কাহালু উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আখেরুর রহমান জানান, উপজেলায় ১০টির বেশি বাগান গড়ে উঠেছে। বাগান চাষিদের সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।

বগুড়া সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলায় ২০জন কৃষকের মধ্যে মাল্টার চারা বিতরণ করা হয়েছে।

বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টি কালচার সেন্টার বনানী কার্যালয়ের উপ পরিচালক আরও জানান, বগুড়ায় ১৫ হেক্টর জমিতে মাল্টা চাষ হয়েছে। আগামী বছর থেকে মাল্টার বাণিজ্যিক ফলন পাওয়া যাবে। কিছু কিছু বাগান আবার মিশ্রভাবে তৈরী করা হয়েছে। মিশ্র বাগানে মাল্টা গাছের ফাঁকে ফাঁকে পিয়ারা, লিচুসহ অন্যান্য ফলের গাছও লাগানো হয়েছে। একটি সবল গাছ থেকে একশ’রও বেশি মাল্টা ফল পাওয়া যাবে। এ মাল্টা হবে মিষ্টি। ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ২৫টি এবং ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ২৭টি মোট ৫২টি মিশ্র বাগান তৈরী হয়েছ। এখন জেলার বিভিন্ন এলাকার চাষিরা মাল্টা চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে। এর বাণিজ্যিক শুরু হলে মাল্টা চাষের পরিধি আরো বৃদ্ধি পাবে।

সূত্র : বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা

(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/নভেম্বর ০৩, ২০১৭)