শিশুদের কৃমির ওষুধ খাওয়ানো আজ থেকে
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : কৃমির আক্রমণ থেকে শিশুদের সুরক্ষায় দেশব্যাপী জাতীয় কৃমিনাশক সপ্তাহের আওতায় দেশের প্রায় ৪ কোটি ৬ লাখ শিশু-কিশোরকে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হবে।
শনিবার (৪ নভেম্বর) থেকে ১৯তম রাউন্ডের এ কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। আগামী ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫ থেকে ১৬ বছর বয়সি ছাত্রছাত্রীদের দুই ধাপে কৃমি নিয়ন্ত্রণে ওষুধ সেবন করানো হবে।
এ উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তেরর ফাইলেরিয়াস নির্মূল, কৃমি নিয়ন্ত্রণ ও খুদে ডাক্তার কার্যক্রম রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা।
এবার দুই দফায় এ কার্যক্রম চলবে। দেশের ১ লাখ ২০ হাজার প্রাথমিক পর্যায়ের এবং ৩০ হাজার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ কার্যক্রমের আওতায় থাকবে।
৪ থেকে ৯ নভেম্বর প্রথম ধাপে পাঁচ থেকে ১২ বছর বয়সের এবং ১৬ থেকে ২৩ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে ১২ থেকে ১৬ বছর বয়সের শিশুদের এ কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে। স্কুলের বাইরের ওই বয়সের শিশুদেরও এবার এই কর্মসূচির আওতায় ওষুধ খাওয়ানো হবে। এ কার্যক্রমে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে স্কুলপর্যায়ে ‘খুদে ডাক্তার’ স্বেচ্ছাসেবীরাও অংশ নেবেন।
জানা গেছে, এই সপ্তাহে সব শিশুকে ভরা পেটে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়াতে হবে, খালি পেটে এ ওষুধ খাওয়ানো যাবে না। এ ওষুধের কোনো ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
দেশের অপুষ্টি সমস্যার অন্যতম কারণ কৃমি। কৃমি মানুষের পেটে পরজীবী হিসেবে বাস করে। যাদের পেটে কৃমি থাকে তাদের প্রতিদিনকার পুষ্টিকর খাবার শুষে নেওয়ায় কৃমি আক্রান্তরা সার্বক্ষণিক অপুষ্টিতে ভোগে। পাশাপাশি রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়।
পাঁচ থেকে ১৬ বছর বয়সের শিশু সবচেয়ে বেশি কৃমিতে আক্রান্ত হয়। কৃমি নিয়ন্ত্রণ না করতে পারায় শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এবং শিশু অপুষ্টিতে ভোগে। পাশাপাশি শিশুর শিখনক্ষমতা হ্রাস পায় ও শ্রেণীকক্ষে সক্রিয় থাকতে বাধার সৃষ্টি করে। কৃমি হলে মানুষের বদহজম, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।
এ থেকে রক্ষায় পরিবারের সবাইকে একত্রে বছরে কমপক্ষে দুইবার কৃমির ওষুধ সেবন, পায়খানা ব্যবহারের সময় স্যান্ডেল পরা, পায়খানার পর সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করা, হাতের নখ ছোট রাখা, সপ্তাহে একবার নখ কাটা, খাদ্যদ্রব্য ঢেকে রাখা, খোলা বা অপরিচ্ছন্ন খাবার না খাওয়া, ফলমূল খাওয়ার আগে তা নিরাপদ পানিতে ধোয়া এবং প্রতিবার খাবার গ্রহণের আগে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করা জরুরি।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/নভেম্বর ০৪, ২০১৭)