দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : অন্য বিচারপতিরা যদি প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সঙ্গে বসতে না চান, তাহলে তিনি কীভাবে বিচার করবেন বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

রবিবার (৫ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে নিজ কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা মন্তব্য করেন।

মাহবুবে আলম বলেন, ‘আমি আগেও বলেছিলাম, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার দায়িত্বগ্রহণ সূদুর পরাহত। আজকেও বলছি। কারণ, অন্য বিচারপতিরা যদি তার সঙ্গে বসতে চান না। তাহলে তিনি কীভাবে বিচার করবেন?’

গত ১ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা এক মাসের ছুটির কথা জানিয়ে চিঠি দেন। এখন তার ছুটি ১০ নভেম্বর পর্যন্ত। গত ১৪ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।

গত ১৫ অক্টোবর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে যে ১১টি অভিযোগ উঠেছে, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার অনুসন্ধান করবে। অনুসন্ধানে সত্যতা পাওয়া গেলে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার পূর্ণাঙ্গ রায় গত ১ আগস্ট প্রকাশিত হয়। ওই দিনই পূর্ণাঙ্গ রায়টি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়। রায় প্রকাশের পর এ নিয়ে সরকার ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সংক্ষুব্ধ হয়। বিশেষ করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ নিয়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছিলেন মন্ত্রী, দলীয় নেতা ও সরকারপন্থী আইনজীবীরা। তাঁরা প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবিও তোলেন।

১৪ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় এবং তার কিছু পর্যবেক্ষণের বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিতে জাতীয় সংসদে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। বিচারিক সিদ্ধান্তের বিষয়ে সংসদে ওই দিন প্রায় পাঁচ ঘণ্টা আলোচনা হয়, যাতে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৮ জন সংসদ সদস্য অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আদালত তার এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে সংসদে পাস হওয়া সংবিধানের সংশোধনী বাতিল করেছেন।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে ন্যস্ত করে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল ৩ জুলাই খারিজ করে দেন সর্বোচ্চ আদালত।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/নভেম্বর ০৫, ২০১৭)