পুজদেমনসহ ৫ কাতালান নেতার আত্মসমর্পণ
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : কাতালুনিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া কার্লোস পুজদেমনসহ স্বাধীনতাপন্থী ৫ নেতা আত্মসমর্পণ করেছেন। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে আত্মসমপর্ণ করেছেন তারা। স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার পর স্পেন ছেড়ে বেলজিয়ামে পাড়ি জমিয়েছিলেন এই ৫ কাতালান নেতা।
এদের পুজদেমন ছিলেন স্পেনের স্বায়ত্তশাসিত এলাকা কাতালুনিয়ার আঞ্চলিক সরকারের প্রেসিডেন্ট। বাকি চারজন হলেন তার সরকারের কৃষিমন্ত্রী মেরিটজেল সেরেট, স্বাস্থ্যমন্ত্রী এন্টনি কমিন, সংস্কৃতিমন্ত্রী লুইজ পুইজ এবং শিক্ষামন্ত্রী ক্লারা পনসাতি।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ওই পাঁচ কাতালান নেতা স্থানীয় সময় রবিবার সকালে বেলজিয়ামের ফেডারেল পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। সে সময় তাদের সঙ্গে তাদের আইনজীবীরাও ছিলেন।
বেলজিয়ামের প্রসিকিউটরের দপ্তরের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, সোমবার (৬ নভেম্বর) সকালে আদালতে তোলার পর বিচারক সিদ্ধান্ত নেবেন, স্প্যানিশ আদালতের দায়ের করা ইউরোপীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় ওই পাঁচজনকে ফেরত পাঠানো হবে, নাকি জামিনে মুক্তি দেওয়া হবে।
ব্রাসেলসের প্রসিকিউটরের দপ্তরের মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমাদের হাতে ২৪ ঘণ্টা সময় আছে আদালতে তোলার জন্য। বিচারকই সিদ্ধান্ত নেবেন, তাদের নিয়ে কী করা হবে।’
স্বাধীনতা ঘোষণার নামে বিদ্রোহ, রাষ্ট্রদ্রোহ ও রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয়ের অভিযোগে স্পেনের একটি আদালত গত শুক্রবার পুজদেমনসহ স্বাধীনতাকামী পাঁচ কাতালান নেতার বিরুদ্ধে ইউরোপীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
গত ২৭ অক্টোবর কাতালুনিয়ার পার্লামেন্টে স্বাধীতার ঘোষণা আসার পর আঞ্চলিক সরকার ভেঙে দিয়ে সেখানে কেন্দ্রের শাসন জারি করে স্পেন। সেই সঙ্গে পুজদেমন ও তার মন্ত্রীদের বরখাস্ত করা হয়।
এরপর কাতালুনিয়ার স্বাধীনতাপন্থী এই নেতাদের বিরুদ্ধে আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়। কিন্তু তার আগেই চার সহযোগীকে নিয়ে বেলজিয়ামে চলে যান পুজদেমন।
আদালতের সমনে হাজির না হওয়ায় গত শুক্রবার স্পেনের একজন বিচারক ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
পুজদেমন এর আগে বলেছিলেন, সুবিচারের নিশ্চয়তা না পেলে তিনি স্পেনে ফিরতে চান না। স্বাধীনতার দাবি আরও জোরদার করতে স্বাধীনতাপন্থী দলগুলোকে একজোট হয়ে ডিসেম্বরের আঞ্চলিক নির্বাচনে অংশ নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।
(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/নভেম্বর ০৫, ২০১৭)