ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর আজ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর (মঙ্গলবার) আজ। দিবসটি পালনে বিভিন্ন সংগঠন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
বিএনপি ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে দিনটি পালনে ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) দিনটিকে ‘সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে পালনে পৃথক কর্মসূচি দিয়েছে। অনেক সংগঠন দিনটিকে ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ হিসেবেও পালন করছে।
১৯৭৫ সালে সেনাবাহিনীর ভেতরে অভ্যুত্থান ও পাল্টা অভ্যুত্থানের মাঝে ক্যান্টনমেন্টে বন্দি তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান ৭ নভেম্বর মুক্ত হন। সেদিন বেশ কিছুু সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এক বাণীতে বলেছেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে সৈনিক-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিল জাতীয় স্বাধীনতা সুরক্ষা ও হারানো গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের দৃঢ় প্রত্যয় বুকে নিয়ে। স্বজাতির স্বাধীনতা রক্ষায় অকুতোভয় দেশপ্রেমিক সৈনিক এবং জনতার ঢলে রাজপথে এক অনন্য সংহতির স্ফুরণ ঘটে। ৭ নভেম্বরের চেতনায় সব জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করা, জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এ মুহূর্তে অত্যন্ত জরুরি।
দিবসটিতে পৃথক বাণী দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির ঘোষিত ১০ দিনের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আজ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকালে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, পোস্টার ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং অনুমতি সাপেক্ষে রাজধানীতে আলোচনাসভা।
এদিকে জাসদের পক্ষ থেকে দিবসটি পালনে আজ বিকেল ৪টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউ শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছে।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/নভেম্বর ০৭, ২০১৭)