দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাতে দেশটির হাজ্জাহ প্রদেশের হিরান এলাকায় এ হামলা চালানো হয়। খবর- আলজাজিরার।

স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর থেকে হিরান এলাকায় কমপক্ষে ১৬টি বিমান হামলা চালানো হয়। হামলা চলে ভোর ৫টা পর্যন্ত। ওই এলাকায় হুতি বিদ্রোহীদের সমর্থক শেখ হামদি ও তার পরিবারকে হত্যা করতেই ওই হামলা চালানো হয়।

এ বিষয়ে হুসাইন আল-বুখাইতি নামের একজন হুতি বিদ্রোহী জানান, মঙ্গলবার রাতে চালানো হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে এক পরিবারের ১০ সদস্য রয়েছেন। এ ছাড়া ১০ জন প্রাথমিক চিকিৎসকও নিহত হয়েছেন।

আল-মাসিরাহ নামের হুতি নিয়ন্ত্রিত একটি টেলিভিশন চ্যানেল তাদের ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে হামলা-পরবর্তী কয়েকটি ছবি প্রকাশ করে। সেখানে বোমায় ধ্বংস হওয়া গাড়ি ও নিহত শিশুদের পড়ে থাকতে দেখা যায়।

২০১৪ সাল থেকে চলমান যুদ্ধে ভেঙে পড়েছে ইয়েমেনের অবকাঠামো। লড়াইয়ে একদিকে রয়েছে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট আলি আবদুল্লাহ সালেহের অনুগত হুতি বিদ্রোহীরা। অন্যদিকে রয়েছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের সেনাবাহিনী। এখন পর্যন্ত এই দুপক্ষের লড়াইয়ে নিহত হয়েছে কমপক্ষে ১০ হাজার ইয়েমেনি।

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ লক্ষ্য করে সম্প্রতি হুতি বিদ্রোহীরা ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার পর থেকেই রাজবংশের রোষের মুখে পড়েছে ইয়েমেন। এদিকে, গত মঙ্গলবার ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে গৃহবন্দি করেছে সৌদি আরব। একই সঙ্গে বন্দি হন তার কয়েকজন পুত্র এবং দেশটির কয়েকজন মন্ত্রী ও সেনা কর্মকর্তা। গত ফেব্রুয়ারিতে হুথি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনে আগ্রাসন চালালে মিত্র রাষ্ট্র সৌদি আরবে পালিয়ে যান আব্দ রাব্বু মনসুর হাদি।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/নভেম্বর ০৮, ২০১৭)