ঘুষের মামলা : নাজমুল হুদার সাজা কমে ৪ বছর
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের মামলায় প্রাক্তন মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে বিচারিক আদালতের দেওয়া সাত বছরের কারাদণ্ড কমিয়ে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে ৪৫ দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একই মামলায় তার স্ত্রী সিগমা হুদার কারাগারে থাকার সময়কে সাজা হিসেবে গণ্য করে তিন বছরের কারাদণ্ড থেকে বাকিটা মওকুফ করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (৮ নভেম্বর) আপিলের পুনঃশুনানি শেষে বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন খুরশিদ আলম খান। নিজের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা।
২০০৭ সালের ২৭ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত মামলাটির রায়ে নাজমুল হুদাকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও আড়াই কোটি টাকা জরিমানা করেন। তার স্ত্রী সিগমা হুদাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
পরে খুরশিদ আলম খান জানান, নাজমুল হুদার সাজা কমেছে তিন বছর। তবে জরিমানার বিষয়ে কিছু বলেননি হাইকোর্ট। সুতরাং, আড়াই কোটি টাকা জরিমানা তাকে দিতেই হবে। অন্য আসামি সিগমা হুদা বেশ কিছুদিন কারাগারে ছিলেন। ওই সময়কেই তার সাজা হিসেবে গণ্য করতে বলেছেন আদালত।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে নাজমুল হুদা ও সিগমা হুদা আপিল করলে ২০১১ সালের ২০ মার্চ তাদের খালাস দেন হাইকোর্ট।
পরে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর খালাসের রায় বাতিল করে হাইকোর্টে পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। এরপর হাইকোর্টে এ মামলার পুনঃশুনানি হয়। পুনঃশুনানি শেষে আদালত আজ উক্ত আদেশ দেন।
নাজমুল হুদা ও তার স্ত্রী সিগমা হুদার বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ২১ মার্চ দুদকের উপ-পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করেন।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/নভেম্বর ০৮, ২০১৭)