নাইকো-পেট্রোবাংলার চুক্তি : শুনানি ৪ মাস মুলতবি
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বাপেক্সের সঙ্গে কানাডাভিত্তিক আন্তর্জাতিক কোম্পানি নাইকোর ও পেট্রোবাংলার সঙ্গে নাইকোর গ্যাস সরবরাহ চুক্তি অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে শুনানি আরো চার সপ্তাহের জন্য মুলতবি করেছেন আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এর আগেও তিন সপ্তাহের জন্য শুনানি মুলতবি করেছিলেন আপিল বেঞ্চ।
এর আগে গত ২৪ আগস্ট গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহের জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাপেক্সের সঙ্গে কানাডাভিত্তিক আন্তর্জাতিক কোম্পানি নাইকোর ও পেট্রোবাংলার সঙ্গে নাইকোর গ্যাস সরবরাহ চুক্তি অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
আদালতে রিট আবেদেনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
একই সঙ্গে দুই চুক্তির অধীনে যেসব সম্পত্তি আছে, তা জব্দের পাশাপাশি নাইকো বাংলাদেশের সম্পত্তি ও বক্ল-৯ এর সম্পত্তিও জব্দের নির্দেশ দেন আদালত।
ওইদিন নাইকোসংক্রান্ত ইন্টারন্যাশনাল আর্বিট্রেশন আদালতে লড়া বাপেক্স ও পেট্রোবাংলার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার মঈন গনি।
পরে ব্যারিস্টার মঈন গণি বলেন তিনি, নাইকোর সঙ্গে করা দু’টি চুক্তি চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থে ২০১৬ সালে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ প্রফেসর এম শামসুল আলম একটি রিট আবেদন করেন। ২০০৩ ও ২০০৬ সালে নাইকোর সঙ্গে বাপেক্স ও পেট্রোবাংলার চুক্তি সঠিকভাবে হয়নি। দুর্নীতির মাধ্যমে হয়েছে। এ ছাড়া ২০০৫ সালে ছাতকে যে বিস্ফোরণ ঘটেছে এর ক্ষতিপূরণ হিসেবে বাংলাদেশে থাকা নাইকোর সব সম্পত্তি জব্দের জন্যও আবেদন করা হয়।
এরপর আদালত ২০১৬ সালের ৯ মে রুল জারি করেন। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট এই রায় ঘোষণা করেন।
আইনজীবী মঈন গনি বলেন, নাইকোর সঙ্গে ২০০৩ সালে করা বাপেক্সের চুক্তি ও ২০০৬ সালের পেট্রোবাংলার সঙ্গে কোম্পানিটির গ্যাসসংক্রান্ত চুক্তি অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/নভেম্বর ০৯, ২০১৭)