কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলায় খালে বাঁধ দিয়ে মাছ ধরা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ভয়া্বহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিন সহোদরসহ পাঁচ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বেলা একটার দিকে মিঠামইনের ঢাকি ইউনিয়নে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

নিহতরা হলেন-মিঠামইনের পশ্চিম হাটির সুলেমান পক্ষের মো. আবদুল আজিজের তিন ছেলে ফেরদৌস মিয়া (৫৫), মাখন মিয়া (৪২) ও মাসুম মিয়া (৩৫) এবং টাগুরিয়া গ্রামের পল্লব পক্ষের সুজন মিয়ার ছেলে রাজীব মিয়া (২৮) ও মুকুল মিয়া (৩০)।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ঢাকি ইউনিয়নের পশ্চিম হাটির সুলেমান মিয়ার পক্ষ ও টাগুরিয়া পাড়ার পল্লব মিয়ার পক্ষের মধ্যে খালের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে আগেও কয়েকবার সংঘর্ষ হয়। এর জের ধরে আজ বেলা একটার দিকে দুই পক্ষের লোকজন খালে বাঁধ দিয়ে মাছ ধরা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে দুই পক্ষের সঙ্গে যোগ দেয় শত শত মানুষ। শুরু হয় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। এতে বল্লম ও টেঁটাবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে চারজন মারা যান। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান আরেকজন। আর নারী-পুরুষসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ২০ জনকে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও মিঠামইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে কথা বলতে দুই পক্ষের দলনেতা সুলেমান ও পল্লবের মুঠোফোনে চেষ্টা করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

ঢাকি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মজিবর রহমান পাঁচজন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। লাশ পাঁচটি উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে এখনো কোনো মামলা বা কাউকে আটক করা হয়নি।

(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/নভেম্বর ০৯, ২০১৭)