শেরপুর প্রতিনিধি : মিয়ানমার থেকে প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের প্রতিনিধিদের নিয়ে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ‘জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ’ গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

মন্ত্রী জানিয়েছেন, এই ওয়ার্কিং গ্রুপই সিদ্ধান্ত নেবে কিভাবে, কখন রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এ ছাড়া রোহিঙ্গা কিভাবে তাদের উন্নয়ন হবে সে বিষয়েও ওয়ার্কিং গ্রুপ কাজ করবে।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) শেরপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলার আড়াইআনি পুলিশ ফাঁড়ির ভিত্তিফলক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এ সময় তার সাথে ছিলেন। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নালিতাবাড়ী ফায়ার সার্ভিস ও নালিতাবাড়ী থানার নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন।

সংসদ সদস্য প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল হক, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার জিএম সালেহ উদ্দিন, রেঞ্জ ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি, অতিরিক্ত ডিআইজি ড. আক্কাছ উদ্দিন ভুঁইয়া, জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার রফিকুল হাসান গণি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও পুলিশের কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘মানবিক কারণে রোহিঙ্গদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরো বলেছেন, ‘আমরা ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদল মিয়ানমারে গিয়েছিলাম। সেখানে তাদের সাথে আমাদের একটি চুক্তি হয়েছ। সেই চুক্তি অনুযায়ী এই জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হচ্ছে।’

রোহিঙ্গাদের উপস্থিতির কারেণ টেকনাফ ও উখিয়ায় সামাজিকভারে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘টেকনাফ ও উখিয়ার মোট জনগণের চেয়ে তিন গুণ বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। কাজেই আমরা নানা ধারণের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি। তারপরও রোহিঙ্গারা যাতে শান্তিতে থাকতে পারে, সেজন্য এদেশের শান্তি প্রিয় মানুষ, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও সেনাবাহিনী দিন-রাত কাজ করছে।’

তিনি বলেছেন, ‘মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে পুলিশের জনবল কাঠামো আরো বাড়ানো হবে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পুলিশের জনবল বৃদ্ধি এবং এ বাহিনীর জন্য আধুনিক আবাসস্থল ও উন্নত যানবাহনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/নভেম্বর ০৯, ২০১৭)