দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেছেন, ‘সরকার তার (প্রধান বিচারপতি) বিরুদ্ধে ১১টি মামলা দায়ের করেছে। এটা থেকে বোঝা যাচ্ছে, জোর করে তাকে পদত্যাগ করানো হয়েছে।’

শনিবার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার পদত্যাগ করার বিষয়টি বঙ্গভবন নিশ্চিত করার পর এক আলোচনা সভায় নিজ দলের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ করেছেন মওদুদ আহমেদ।

বিচারপতি সিনহার পদত্যাগে গোটা জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করে মওদুদ আরো বলেছেন, ‘এটা (প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ) এই জাতির জন্য, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য, বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি-মর্যাদা-সম্মানের জন্য একটি কলঙ্কের দিন হয়ে থাকবে।’

জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের উদ্যোগে ‘রাজনৈতিক সঙ্কট উত্তরণে নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিকল্প নেই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মওদুদ।

এদিকে, জাতীয় প্রেস ক্লাবেই পৃথক আরেকটি আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনও একই অভিযোগ করে বলেছেন, ‘তাকে (প্রধান বিচারপতিকে) জোর করে অসুস্থ বানিয়ে ছুটি দেওয়া হয়েছিল। সরকার আজকে প্রধান বিচারপতিকে দেশে ফিরতে না দিয়ে জোর করে পদত্যাগে বাধ্য করে।’

তিনি আরো বলেছেন, ‘এর চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক, লজ্জাজনক, ন্যক্কারজনক কাজ আর কিছু হতে পারে না। দেশের সর্বাচ্চ বিচারালয়ে এই ধরনের নগ্ন হামলা কেউ গ্রহণ করতে পারে না। আমরা এহেন ঘটনার নিন্দা জানাই।’

বিচার বিভাগের উপর ‘নিয়ন্ত্রণ’প্রতিষ্ঠিত করতে প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা করেছে বলে দাবি করেন তিনি।

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রায় বাতিলের পর ক্ষমতাসীনদের তোপের মুখে বিচারপতি সিনহা ছুটি নিয়ে বিদেশ যাওয়ার পরও বিএনপি বলেছিল, তাকে ‘জোর করে ছুটি দিয়ে’বিদেশ পাঠানো হয়েছে।

তবে এই অভিযোগ বরাবরই নাকচ করে আসছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।

শনিবার এই অভিযোগ প্রত্যাখান করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘বিদেশ থেকে তিনি (পদত্যাগ)পত্র পাঠিয়েছেন, সেখানে আমরা তাকে জোর করব কোত্থেকে? বিদেশে তো আমরা পিস কিপিং ফোর্স পাঠাইনি…পাঠিয়েছি? সুতরাং এগুলো হচ্ছে অবাস্তব বক্তব্য।’

(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/নভেম্বর ১১, ২০১৭)