দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রাজধানীর বনানীতে মঙ্গলবার রাতে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ঢুকে ব্যবসায়ী সিদ্দিক মুন্সিকে (৫৫) হত্যার ঘটনাটি পরিকল্পিত বলে পুলিশ ধারণা করছে। তবে স্বজনদের দাবি, চাঁদা না দেওয়ায় সিদ্দিক মুন্সিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

পুলিশ বলছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। কারণ, সিদ্দিক মুন্সি কারও কাছ থেকে টাকা নেননি। তার কোনো রাজনৈতিক সম্পৃক্ততাও পাওয়া যায়নি। আর ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজ অস্পষ্ট। বোঝা যাচ্ছে না কয়জন এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছেন।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকালে পুলিশের গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার আবদুল আহাদ গণমাধ্যমকে জানান, ধারণা করা হচ্ছে, চার থেকে ছয়জন এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তবে এখনো কেউ ধরা পড়েনি। এ ব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর বনানীর ৪ নম্বর সড়কের ১৩ নম্বর বাসায় ঢুকে সিদ্দিক হোসেন (৫৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় মির্জা পারভেজ (৩০), মোখলেছুর রহমান (৩৫) ও মুস্তাফিজুর রহমান (৩৯) নামে তিনজন কর্মচারী আহত হয়েছেন। আহতদের রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ঘটনার সময় উপস্থিত আরেক কর্মচারী আবু জাফর বলেন, দুর্বৃত্তদের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছর। তাদের প্রত্যেকের মুখোশ পরা ছিল। পরনে ছিল প্যান্ট, শার্ট। গুলিবিদ্ধ হয়ে মালিক লুটিয়ে পড়লে দুর্বৃত্তরা ড্রয়ার থেকে টাকা লুট করে।

জানা গেছে, নিহত সিদ্দিক হোসেন মুন্সী এন্টারপ্রাইজ নামে একটি জনশক্তি রফতারিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক ছিলেন। তার বাসা উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের ৭ নম্বর সড়কে। তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে। গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায়। তার বাবার নাম মৃত আয়নাল আলী।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/নভেম্বর ১৫, ২০১৭)