দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : আশুলিয়ায় ফাইমা আক্তার নামের এক কিশোরী বধূকে  হত্যার দায়ে তার স্বামী মজনু মিয়াকে ফাঁসির দণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এস এম কুদ্দুস জামান এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামি আসামি মজনু মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের অন্যতম কৌঁসুলি জানিয়েছেন, দণ্ডিত মজনু মিয়া জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জের রহিস উদ্দিনের ছেলে। মজনু ও তার স্ত্রী ফাইমা আক্তার পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, মজনু ও ফাইমা আশুলিয়ার বাইপাইলে এক বাসায় ভাড়া থাকতেন। পারিবারিক বিষয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ হত। কলহের জের ধরেই গত বছর ১৩ অক্টোবর মজনু বটি দিয়ে গলা কেটে ফাইমাকে হত্যা করেন এবং পরে ঘরে লাশ ফেলে পালিয়ে যান বলে উল্লেখ করা হয় মামলার এজাহারে।

ওই ঘটনার পর ফাইমার মা ফাতেমা বেগম আশুলিয়া থানায় এই হত্যা মামলা দায়ের করেন এবং পুলিশ পরে মজনুকে গ্রেপ্তার করে। পরে তিনি আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দিও দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার এসআই মো. শাহজালাল চলতি বছরের ৩১ মার্চ মজনুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। এরপর ১৪ জুন আদালত অভিযোগ গঠন করে আসামির বিচার শুরু করেন।

বাদীপক্ষে মোট ১২ জনের সাক্ষ্য শুনে আদালত বুধবার রায় ঘোষণা করে বলে আইনজীবী মিজানুর রহমান জানান।

(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/নভেম্বর ১৫, ২০১৭)