দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে নতুন কোম্পানি বাজারে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে এই প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। কিন্তু অনেক প্রতিষ্ঠান আছে, তারা নতুন কোনো কোম্পানি আনতে পারে না। অর্থাৎ পেশাদারিত্ব নয়, তারা বাজারে আসছে শুধু টাকা আয়ের জন্য। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন।

পুঁজিবাজার সাংবাদিকদের সংগঠন সিএমজেএফের (ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম) নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বুধবার ড. এম খায়রুল হোসেন এসব কথা বলেন। এ সময়ে বিএসইসিতে পুঁজিবাজার গোয়েন্দা ইউনিট গঠনের পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।

বিএসইসির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সাংবাদিকদের পক্ষে নেতৃত্ব দেন সিএমজেএফের সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএসইসির কমিশনার ড. স্বপন কুমার বালা, আমজাদ হোসেন এবং খোন্দকার কামালুজ্জামান।

বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে বাজারে ৫৭টি মার্চেন্ট ব্যাংক রয়েছে। এই ব্যাংকগুলোর  মূলত তিনটি কাজ। এগুলো ইস্যু ব্যবস্থাপনা, পোর্টফোলিও ব্যবস্থাপনা এবং আন্ডার রাইটিং। অনেক প্রতিষ্ঠান দুটি কাজ করলেও ইস্যু ব্যবস্থাপনা করতে পারছে না। এদেরকে বিএসইসির পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে ব্যাখা জানতে চাওয়া হবে। এক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য ব্যাখা না দিতে পারলে লাইসেন্স বাতিলের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে সুশাসন নিশ্চিতের জন্য আমরা কাজ করছি। এক্ষেত্রে আগামীতে অপরাধীদের চিহ্নিত করার জন্য পুঁজিবাজার গোয়েন্দা ইউনিট নামে একটি শাখা করার পরিকল্পনা রয়েছে। বিএসইসিতে জনবল বাড়লে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে।

তিনি আরো বলেন, আইপিওতে কোম্পানির মূল্য নির্ধারণ নিয়ে এর আগে অনেক প্রশ্ন ছিল। বর্তমানে এখানে একটি শৃংখলা ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এখন বিএসইসি আর কোনো কোম্পানিতে প্রিমিয়াম দেয় না। কোনো কোম্পানি প্রিমিয়ামে আসতে হলে অব্যশই তাকে বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে যেতে হবে। এতে বাজারের চাহিদা অনুসারে শেয়ারের মূল্য নির্ধারিত হবে। তিনি বলেন, শেয়ারবাজার ডিমিউচুয়ালাইজড হয়েছে। ফলে আগামীতে বাজারে অনেক নতুন নতুন পণ্য আসছে। এতে বাজারের গভীরতা আরও বাড়বে।

ড. স্বপন কুমার বালা বলেন, শেয়ারবাজারকে স্বচ্ছ ও গতিশীল করতে কাজ করছে কমিশন। এখন অনেক তথ্য স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েব সাইটে পাওয়া যায়। এই ওয়েবসাইটকে আরও সমৃদ্ধ করা হবে।

এ সময়ে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জোরদার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/নভেম্বর ১৫, ২০১৭)